ভবিষ্যৎ কোন পথে? হাওড়ায় সংস্থার কারখানা।
পুনরুজ্জীবন না কি ব্যবসা গোটানো। বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের ভবিষ্যৎ কোন খাতে বইবে, তা সম্ভবত বোঝা যাবে নভেম্বর নাগাদ। কিন্তু যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির ভাগ্য নির্ধারিত হবে, তার বল গড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
বিআইএফআর উঠে যাওয়ার পরে নতুন দেউলিয়া বিধি মেনে মে মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) গিয়েছে বার্ন স্ট্যন্ডার্ড। নভেম্বরের মধ্যে সংস্থার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। কিন্তু তার জন্য একের পর এক ধাপ পেরনো শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। এই কাজে বিশেষজ্ঞ (ইন্টেরিম রেজলিউশন প্রফেশনাল বা আইআরপি) নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পাওনাদারদের জন্য বিজ্ঞাপনের কথা। এ বার একের পর এক যে সমস্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে, তা-ও জমা পড়তে শুরু করার কথা চলতি সপ্তাহ থেকেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, যদি দেখা যায় সংস্থার সম্পদ দায়ের দ্বিগুণ, তাহলে তার পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আর দায় সম্পদের থেকে বেশি হলে উল্টোটা। বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের সিএমডি আসদ আলমের দাবি, ‘‘সংস্থার সম্পদ প্রায় ৬০০ কোটি টাকার। দায় ২০০ কোটির মতো। তাই আমাদের বিশ্বাস, এনসিএলটি পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্তই নেবে।’’ তবে ইউনিয়নের একটি অংশের আশঙ্কা, সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ।
আরও পড়ুন: দেশে এফ-১৬ তৈরি করতে চুক্তি টাটাদের
সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রথমে সংস্থার সম্পদ ও দায় মাপায় হাত দিয়েছে এনসিএলটি। সেই কাজ করছেন তাদের নিযুক্ত আইআরপি। সংস্থার কাছে কে কত টাকা পায়, তা জানতে চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সম্পদেরও মূল্যায়ন করবেন তিনি। এ জন্য তাঁর তরফে এক জন মূল্যায়নকারী নিযুক্ত হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে দায় বলতে ধরা হচ্ছে ব্যক্তি ও সংস্থার কাছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের বকেয়া, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার ঋণ, কর্মীদের বেতন, অবসরকালীন পাওনা ইত্যাদি। একই সঙ্গে ধরা হবে রাজ্যের বকেয়া কর (থাকলে), কাঁচামাল সরবরাহকারীদের পাওনাও।
পাওনাদারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্রেডিটর্স কমিটি। যাতে মূলত থাকবে ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতারা। থাকবেন আরপি-ও। দেউলিয়া বিধি মেনে পুরো প্রক্রিয়াটি সময় বেঁধে করতে হবে। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড সূত্রে খবর, রিপোর্ট পেশের পালা শুরু হচ্ছে এ সপ্তাহেই। ২৩ জুনের মধ্যে আইআরপি-কে রিপোর্ট দেবেন মূল্যায়নকারী। তারপরে ধাপে ধাপে রিপোর্ট পৌঁছবে (বিস্তারিত সঙ্গের সারণিতে) এনসিএলটি-র ঘরে। সিদ্ধান্ত হবে তার ভিত্তিতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy