কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বেহাল আর্থিক অবস্থা সত্ত্বেও আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কী ভাবে সংস্থাটিকে ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
কিংফিশারের ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা সংক্রান্ত মূল্যায়ন বা রেটিং নেতিবাচক এবং তার নিট সম্পদও শূন্যের নীচে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই ঋণ যে বাকি পড়বে ও অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হবে তা কার্যত অবধারিত থাকা সত্ত্বেও আইডিবি আই ব্যাঙ্ক তা মঞ্জুর করে বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এ ধরনের ঋণ দেওয়া নিয়ে ২৭টি ক্ষেত্রে মামলা ও তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যার অন্যতম ভূষণ স্টিল ও প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজকে দেওয়া সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের ঋণ। সেই সূত্রেই গ্রেফতার হন সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের সিএমডি সুধীর কুমার জৈন।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৩-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ ২.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। ১৭টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের কাছে কিংফিশারের বকেয়া ৭ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্কেরই পাওনা ১৬০০ কোটি (সর্বোচ্চ)। কনসোর্টিয়ামের বাইরে একক ভাবে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কেন আরও ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দিল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই।
২০১২-র অক্টোবর থেকে উড়ান বন্ধ বিজয় মাল্যের ইউ বি গোষ্ঠীর কিংফিশারের। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের নিজস্ব রিপোর্টেও কিংফিশারকে ঋণ দেওয়া নিয়ে সতর্ক করা হয়। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ঋণ দেওয়া হল, তা নিয়ে কিংফিশার ও ব্যাঙ্ক, দু’ -পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
এ নিয়ে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ইউবি গোষ্ঠীর কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স সংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকাশ মিরপুরী বলেন, “কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তদন্তের ব্যাপারে কিছু জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy