খোশমেজাজে: আড্ডায় মশগুল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর ঘোষ ও অমিত মিত্র। বণিকসভার অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার শহরে। নিজস্ব চিত্র
শুধু মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুখ্যাতি করলেই হবে না, পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-সহায়ক পরিবেশের কথা সঠিক ভাবে পৌঁছে দিন কেন্দ্রের দরবারেও। মঙ্গলবার ৬ বণিকসভার যৌথ মঞ্চের অনুষ্ঠানে রাজ্যে শিল্পমহলের কাছে এই আর্জি শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের।
আসন্ন ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এর আগে মমতা সরকার ভিন্ রাজ্যে রোড-শো করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বণিকসভাগুলিও আলাদা ভাবে এ রাজ্যে তাদের ব্যবসা চালানোর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরুক, চাইছিল রাজ্য। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চর্চা চলার পরে বেঙ্গল চেম্বার, ভারত চেম্বার, মার্চেন্টস চেম্বার, ক্যালকাটা চেম্বার, হাওড়া চেম্বার ও ক্রেডাই বেঙ্গল যৌথ মঞ্চ গড়েছে। এ দিন সেই মঞ্চের প্রথম অনুষ্ঠানে শিল্প-কর্তারা দাবি করেন, গত ক’বছরে পরিকাঠামো-সহ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই আর্জি অমিতের।
বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় কেন্দ্রীয় শিল্প নীতি ও উন্নয়ন দফতরের রাজ্য ভিত্তিক ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সংক্রান্ত সমীক্ষার প্রসঙ্গও তোলেন অমিতবাবু। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সহজে ব্যবসার ৩৪০টি মাপকাঠির প্রায় সবই পূরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তালিকায় রাজ্যের স্থান ১৫তম থেকে উঠে এসেছে তৃতীয়তে। কিন্তু এ বার আলাদা ভাবে সমীক্ষাও চালাবে কেন্দ্র। অমিতবাবুর আর্জি, বণিকসভাগুলি যেমন সকলকে এ রাজ্যের ‘উন্নয়ন’ ও তাদের অভিজ্ঞতার বার্তা দিচ্ছে, সেই সমীক্ষাতেও তারা তা সঠিক ভাবে জানাক।
এ দিন অমিতবাবুর দাবি, তাঁদের আমলে এ যাবৎ ব্যাঙ্কগুলি ছোট, মাঝারি ও বড় শিল্পকে ১.৮২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকে বলেন, শিল্প কোথায়? কিন্তু প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্যাঙ্ক তবেই ঋণ দেয়।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমি যখন শিল্পমন্ত্রী ছিলাম, তখন পরিকাঠামো-সহ নানা সমস্যা ছিল।’’ আমরা শিল্পমহলকে বলেছিলাম, কিছুটা সময় দিন। আজ, আর সমস্যা নেই।’’ বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর ঘোষ জানান, অনেকেই প্রশ্ন করেন, তাঁদের ব্যাঙ্কের সদর দফতর কি কলকাতা থেকে মুম্বইতে সরবে। তাঁর জবাব, না। এ রাজ্যে ব্যবসার সহায়ক পরিবেশই তার কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy