ফের ঝিমিয়ে পড়ার ইঙ্গিত অর্থনীতিতে। শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার জুন মাসে কমে দাঁড়াল ৩.৪%। মে মাসে তা ছিল ৫ শতাংশে (সংশোধিত হার)। খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও জুলাইয়ে প্রায় ৮ শতাংশে পৌঁছনোর ইঙ্গিত মিলেছে মঙ্গলবারই প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে। জুন মাসের ৭.৪৬% থেকে বেড়ে তা ছুঁয়েছে ৭.৯৬%।
ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন এক ধাক্কায় ১০% কমার কারণেই জুনে আশানুরূপ বাড়েনি শিল্পোৎপাদন। পাশাপাশি ছিল খুচরো মূল্যবৃদ্ধির আবার মাথা তোলার ইঙ্গিতও। এর জেরে চাহিদা তেমন না-বাড়ার কারণেই ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়েনি বলে ইঙ্গিত দিয়েছে শিল্পমহল। এই জোড়া অশনি সঙ্কেতের মধ্যেও অবশ্য শিল্পোৎপাদন টানা তিন মাস সরাসরি না-কমায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে ঘাটতি কমলে মূল্যবৃদ্ধিও কমার মুখ নেবে। তখন আরও বাড়বে শিল্পোৎপাদন।
মূলত কারখানা, খনন ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির জেরেই জুনে বেড়েছে সার্বিক শিল্পোৎপাদন। কারখানার উৎপাদন বেড়েছে ১.৮%। সার্বিক শিল্প বৃদ্ধির হার হিসাবে এই ক্ষেত্রটির গুরুত্ব ৭৫ শতাংশেরও বেশি। ২৩% বেড়েছে মূলধনী পণ্য উৎপাদনও। খনন শিল্পে উৎপাদন বেড়েছে ৪.৩%, বিদ্যুতে ১৫.৭%। প্রসঙ্গত, ২০১৩-র জুনে শিল্পোৎপাদন সঙ্কুচিত হয়েছিল ১.৮%।
এ দিকে, শাক-সব্জি, ফল ও দুধের চড়া দাম মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা বাড়িয়ে টেনে তুলেছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকে। তার মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ৯.৩৬%। শুধু শাক-সব্জির দরই বেড়েছে ১৬.৮৮%, ফল ২২.৪৮%, দুধ ১১.২৬%। গ্রামাঞ্চলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি জুলাইয়ে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ৮.৪৫ শতাংশে। আর শহরে তা ৭.৪২%। জুনে দুই হার ছিল যথাক্রমে ৭.৮৭ ও ৬.৮২%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy