ফের আবাসনবাসীদের বাড়ছে খরচ। এ বার থেকে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ব্যয়ের উপর ১৮ শতাংশ হারে দিতে হবে পণ্য ও পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি)। ফলে তাঁদের মাসিক খরচ যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে তা বলাই বাহুল্য। কী হিসাবে বর্ধিত করের টাকা জমা করবেন তাঁরা? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
দেশের অধিকাংশ আবাসনেই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি থাকে। একে বলা হয়, আবাসিক কল্যাণ সমিতি বা রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (আরডব্লিউএ)। সূত্রের খবর, যদি কোনও সমিতির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকার বেশি হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ আবাসিকদের প্রতি মাসে ৭,৫০০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়, তা হলে ধার্য হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। এ ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচের মোট অঙ্কের উপর এই কর নেবে সরকার। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আবাসিকদের কেউ ৭,৫০০ টাকার বেশি খরচ করলে, দিতে হবে না ১৮ শতাংশ জিএসটি।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, এর আগে আবাসিক কল্যাণ সমিতিগুলির সুবিধার্থে মাসিক ছাড়ের প্রাথমিক সীমা পাঁচ হাজার রেখেছিল জিএসটি কাউন্সিল। পরে সেটা বাড়িয়ে ৭,৫০০ টাকা করা হয়। কী হিসাবে আবাসনবাসীরা ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দেবেন, একটি উদাহরণের সাহায্যে তা বুঝে নেওয়া যেতে পারে।
ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে ন’হাজার টাকা খরচ করেন। তাঁর আবাসন সমিতির বার্ষিক আয়-ব্যয়ের সীমা ২০ লক্ষের বেশি হলে কর বাবদ ওই ব্যক্তিকে ১,৬২০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ তাঁর মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ হাজার ৬২০ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অর্থ মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার এক অফিসার। তিনি জানিয়েছেন, যদি আবাসন সমিতির বার্ষিক খরচের অঙ্ক ২০ লক্ষ টাকার কম হয়, তা হলে সেখানকার বাসিন্দারা জিএসটির আওতার বাইরে থাকবেন। শুধু তা-ই নয়, সে ক্ষেত্রে কোনও আবাসিকের ব্যক্তিগত ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের মাসিক খরচ ৭,৫০০ টাকার বেশি হলেও, কর দিতে হবে না তাঁকে।