আগামী বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসতে চলেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। সোমবারই বাসে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিতে চলেছেন তাঁরা। দিল্লির পথে বাস যে সমস্ত রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে, সেই সমস্ত রাজ্যে লিফলেট বিলি করে সমস্যার কথা তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে চাকরিহারাদের তরফে।
রবিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে চাকরিহারা সংগঠন ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ২০১৬ ঐক্যমঞ্চ’। সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক চিন্ময় মণ্ডল কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে সমাজের সব স্তরের সাহায্য এবং সমর্থন প্রার্থনা করেন।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার, পয়লা বৈশাখের দিন বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনাসভা হবে। যে সমস্ত চাকরিহারা এখনও পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে কাজ করছেন, বৃহস্পতিবার তাঁরা বিশেষ ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানাবেন। সংগঠনের তরফে আগামী ২২ এপ্রিল রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন দুপুর ১২টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে চাকরিহারাদের একটি মিছিল যাবে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তার পর তাঁদের কয়েক জন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করবেন।
আগামী ১ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত রিলে অনশনের পরিকল্পনা রয়েছে চাকরিহারাদের একাংশের। এই সংগঠনের সদস্যেরা ৭ মে-র পর আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি যাওয়ার জন্য সোমবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে বাস ছাড়বে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, এসএসসির সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে। এর আগে তাঁরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে শনিবার রাতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। চাকরিচ্যুতদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে সকলের মতামত চাওয়া হচ্ছে। ওয়াই চ্যানেলে একটি বাক্স বসিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একটি কাগজে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ লিখে ওই বাক্সে ফেলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। সকল চাকরিহারাকে আন্দোলনে শামিল করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে শহরের অপর প্রান্তে পৃথক কর্মসূচি চলছে। সল্টলেকে সুমন বিশ্বাস, প্রতাপ রানা এবং পঙ্কজ রায় নামের তিন চাকরিহারা প্রার্থী অনশনে বসেছিলেন বৃহস্পতিবার থেকে। শনিবার সুমন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার তাঁরা অনশন তুলে নিয়েছেন। আগামী দিনে কোন পথে তাঁদের আন্দোলন এগোবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ওয়াই চ্যানেলে যাঁরা অবস্থানে রয়েছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের কেউ অনশন করছেন না। অনশনকারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
- ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। বলল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
- এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল।
- রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি (আদতে ২৫,৭৫২) বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
-
আদালত অবমাননার আশঙ্কা, তাই নির্দেশ মতো পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আইনি লড়াই চলবে, বললেন মমতা
-
উত্তরপত্রে কারচুপি থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, ‘অযোগ্য’দের আর্জি খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
-
থানায় হাজিরা দিতেই হবে দুই চাকরিহারা শিক্ষককে! বিকাশ ভবনের সামনে লোকসংখ্যাও কমাতে হবে, বলল হাই কোর্ট
-
‘র্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পান, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, ‘অযোগ্য’দের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
-
বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ফেলা শিক্ষকদের চিহ্নিত করে শো কজ় করা শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, সাত দিনে জবাব তলব