Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

জিওর প্রবল চাপে জুড়তে পারে আইডিয়া-ভোডাফোন

প্রতি ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। নিউটনের সেই তৃতীয় সূত্রটি যেন সটান খেটে গেল ভারতীয় মোবাইল পরিষেবার ময়দানেও। যার ধাক্কায় এ দেশে ভোডাফোন ও আইডিয়া’র কাঁধে কাঁধ মেলানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

প্রতি ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। নিউটনের সেই তৃতীয় সূত্রটি যেন সটান খেটে গেল ভারতীয় মোবাইল পরিষেবার ময়দানেও। যার ধাক্কায় এ দেশে ভোডাফোন ও আইডিয়া’র কাঁধে কাঁধ মেলানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এবং এর মূলে সেই রিলায়্যান্স-জিও। চার মাস আগে মুকেশ অম্বানীর যে ‘সুনামি’র টক্কর নিতে গিয়ে মাসুল-হ্রাসের দৌড়ে পা মিলিয়েছে তাবড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তার পরেও তারা বিশেষ স্বস্তিতে নেই। মুকেশের ছোড়া চ্যালেঞ্জ সামলাতেই এ বার হাতে হাত মিলিয়ে হাঁটার কথা ভাবছে ভারতের ভোডাফোন ও আইডিয়া, দেশের বাজারে যারা কিনা যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম টেলিসংস্থা হিসেবে পরিচিত। সংযুক্তি শেষমেশ বাস্তবায়িত হলে যৌথ সংস্থাটি শীর্ষ স্থানে উঠে আসবে।

২০০৭-এ হাচিসন কিনে নিয়ে ভারতে পা রাখে ব্রিটেনের ভোডাফোন। গ্রাহকসংখ্যার নিরিখে এয়ারটেলের পরে জায়গা করে নিলেও এ দেশে তাদের পথ চলা খুব একটা মসৃণ হয়নি। উপরন্তু হাচিসন খরিদের সময় কর প্রশ্নে দিল্লির সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সংঘাত ভোডাফোনের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়েছে।

এমতাবস্থায় নতুন কাঁটা হয়ে এসেছে জিও। গত সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জিও-র আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করে মুকেশ জানিয়েছিলেন ‘ডেটাগিরি’র কথা। বস্তুতই গোড়া থেকে জলের দরে বিপুল পরিমাণ ‘ডেটা’ বা ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে বাজারে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে জিও। পাশাপাশি প্রথমে ডিসেম্বর পর্যন্ত ও পরে আগামী মার্চ পর্যন্ত নিখরচায় মোবাইল পরিষেবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে, যদিও তার বাস্তবতা সম্পর্কে বাজারে জল্পনার অন্ত নেই। কারও দাবি, গ্রাহকেরা বাস্তবে অতটা সুবিধা পাচ্ছেন না, যতটা বলা হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা চালু হলে আদৌ কতটা সুবিধা মিলবে, তা নিয়েও প্রচুর প্রশ্ন।

পাল্টা যুক্তিও মজুত। অনেকের বক্তব্য: শুধু বিপুল ‘অফার’ নয়, সহজে জিও-সিম পাওয়ার আকর্ষণেও রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর বিভিন্ন ধরনের দোকানে ভিড় বাড়ছে। আধার নম্বর দিয়ে সিম চটজলদি মোবাইলে ভরে ফেলার সুযোগ নিতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতেও অনেকে আপত্তি করছেন না। এ সবই নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দিকে। উপরন্তু টেলি-পরিষেবার মাধ্যম, অর্থাৎ স্পেকট্রামের বহর বাড়াতে স্পেকট্রাম ভাগাভাগির কথা জানিয়ে রেখেছে মুকেশের জিও এবং অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন (আর-কম)। সে ক্ষেত্রে তাদের মিলিত স্পেকট্রামের পরিমাণ বাকিদের ছাপিয়ে যাবে।

যথোচিত প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গত ক’মাসে অন্য সংস্থাগুলো বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন পরিষেবার মাসুল-হার কমাতে। তবু অস্বস্তি বহাল।

অন্য বিষয়গুলি:

IDEA Vodafone Merge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE