কর্ণধার চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে ওঠা স্বজনপোষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পাশে দাঁড়াল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। স্পষ্ট জানাল, ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ কাজের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছে পরিচালন পর্ষদ। তারা নিশ্চিত, ব্যাঙ্কটির ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার একচুল ক্ষমতা নেই সেখানকার কোনও কর্মীর। তা তিনি যে পদেই থাকুন। এমনকী সিইও হলেও।
কোছরের বিরুদ্ধে ভিডিওকনকে ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান এম কে শর্মার দাবি, পর্ষদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর উপর।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে খবর, কোছর নাকি ভিডিওকন গোষ্ঠীর কর্ণধার বেণুগোপাল ধুতকে ২০১২ সালে ৩,২৫০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে কিছু অনৈতিক সুবিধা দিয়েছিলেন। আর তা দেওয়া হয়েছিল ধুত চন্দার স্বামী দীপক কোছর ও তাঁর পরিবারকে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়ায়। খবরে দাবি, ভিডিওকনের সেই ধারের ৮৬ শতাংশই (২,৮১০ কোটি) শোধ হয়নি ও সেই ধার ২০১৭ সালে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিবৃতি জারি করে কোছরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগই উড়িয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। তাদের দাবি, শুধু আইসিআইসিআই-সহ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের জোটের কাছ থেকে ভিডিওকন ঋণ নিয়েছিল। যার মধ্যে আইসিআইসিআইয়ের ভাগ ছিল ১০ শতাংশেরও কম। শর্মা বলেন, সেই ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কমিটি, চন্দা একা নন। এমনকী তিনি কমিটির চেয়ারপার্সনও ছিলেন না। ফলে স্বজনপোষণ বা স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন নেই।
তবে এ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেবালা বলেন, আরও একটি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি। অথচ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মৌন ব্রত ভাঙলেন না।
এ দিকে, বন্ড বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগেও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককে ৫৮.৯ কোটি টাকা জরিমানা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আইসিআইসিআইয়ের অবশ্য দাবি, শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশ কার্যকর করার সময় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির দরুনই আসলে লঙ্ঘিত হয়েছে ওই বিধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy