Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ই-ওয়ে বিল মসৃণ, বাড়ছে জিএসটিও

সোমবার অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়ার দাবি, ১ এপ্রিল থেকে ই-ওয়ে বিল চালু হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে জিএসটি থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে।

হাসমুখ আঢিয়া।

হাসমুখ আঢিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৪
Share: Save:

গত জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই সেই খাতে আয় কমছে। অবশেষে ফেব্রুয়ারিতে আদায় বাড়ল। সোমবার অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়ার দাবি, ১ এপ্রিল থেকে ই-ওয়ে বিল চালু হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে জিএসটি থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। কারণ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও আর কর ফাঁকি দেওয়ার কোনও উপায় থাকবে না।

অর্থ মন্ত্রকের হিসেব, ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি বাবদ আয়ের পরিমাণ ৮৯,২৬৪ কোটি টাকা, যা হাতে এসেছে মার্চে। সব মিলিয়ে বিদায়ী অর্থ বছরে জিএসটি থেকে সরকারের আয় প্রায় ৭ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি।

ই-ওয়ে বিল আসার পর থেকে এখনও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বলেই জিএসটি নেটওয়ার্ক কর্তাদের দাবি। প্রথম দিন রবিবার হওয়া সত্ত্বেও ২.৫৯ লক্ষ বিল তৈরি হয়েছিল। সোমবার দুপুর ২টো পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ২.০৪ লক্ষ বিল। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা ৮,৮৩৪ এবং ৫,২০৭।

এ দিকে, আইজিএসটি ফেরত পাওয়া নিয়ে রফতানিকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ৯,৬০৪ কোটি টাকা আইজিএসটি রিফান্ড মঞ্জুর হয়েছে। মঞ্জুর হয়েছে কাঁচামালে মেটানো ৫,৫১০ কোটি টাকার কর ছাড়ও। রাজ্যগুলি ২,৫০২ কোটির কর ছাড়ে সায় দিয়েছে।

অর্থ সচিব বলেন, ডিজি (জিএসটি-ইনভেস্টিগেশন) প্রায় ২০০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছেন, যা জিএসটি খাতে আদায় হয়েছে। কিন্তু সরকারের ঘরে তা জমা পড়েনি। আবার মুনাফাখোর বিরোধী অভিযানেও ২০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এই সব ক্ষেত্রে জিএসটি-র বোঝা কমা সত্ত্বেও পণ্য বা পরিষেবার দাম কমানো হয়নি ক্রেতাদের জন্য।

সব মিলিয়ে সরকার মসৃণ ই-ওয়ে বিল এবং সফল জিএসটির কথা বললেও, এই কর আদায় এখনও প্রত্যাশা মতো হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে যথেষ্ট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE