চির পরিচিত ছোট বা বড় ‘টাইম টেবল’ বইকে ক্রমশ পিছনের সারিতে ঠেলে দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। তার জায়গা নিচ্ছে গুগ্ল বা ওয়েবসাইটের পর্দা কিংবা হাতের মুঠোর মোবাইল ফোনের ‘অ্যাপ’।
ভারতীয় রেলের যেমন নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে, তেমনই তা আছে আইআরসিটিসি-রও। সেগুলিতে ট্রেনের তথ্য পাওযার সঙ্গে সঙ্গে টিকিটও কাটা যায়। কিন্ত সময় যত গড়াচ্ছে, যাত্রীদের তথ্যের চাহিদাও বাড়ছে। সেই বাড়তি চাহিদাকেই কাজে লাগিয়ে তথ্যভাণ্ডার বাড়িয়ে নতুন পরিষেবা দেওয়ার পথে হাঁটছে গুগ্ল-সহ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি।
গুগ্ল এই মুহূর্তে তাদের মানচিত্রে অন্য যানবাহনের সঙ্গে ঠাঁই দিচ্ছে ভারতীয় রেলের প্রায় ১২০০০টি ট্রেনের গতিবিধিকে। আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা, মুম্বই, নয়াদিল্লি ও পুণে— দেশের আটটি শহরের বাস ও মেট্রো পরিষেবাকেও তারা সংযুক্ত করেছে। গোটা বিশ্বের ২৮০০টি শহরে এ ধরনের গণ পরিবহণ ব্যবস্থার তথ্য গুগ্ল তার মানচিত্রে দেয়।
একই ভাবে উত্তর ভারত ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘রেলযাত্রী ডট ইন’ তাদের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ‘অ্যাপ্লিকেশন’-এ দূরপাল্লার পাশাপাশি তুলে ধরছে কলকাতা, মুম্বই শহরতলির ‘লোকাল’ ট্রেনকে। কোনও স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পরের তিনটি লোকাল কখন রয়েছে, কোন স্টেশনে পৌঁছতে কোনটি উপযুক্ত, কোন ট্রেনে ভিড় কম হতে পারে, সে সব তথ্যও মিলবে। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা বিজনেস হেড অপরাজিতা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, প্রথাগত তথ্যের পাশাপাশি বিশ্লেষণমূলক তথ্যও তাঁরা দিচ্ছেন। যেমন, কোন দূরপাল্লার ট্রেন গড়ে কতটা দেরিতে চলে।
টিকিট ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ থাকলে যাত্রী তাঁর ‘পিএনআর’ নম্বর দিয়ে তা ‘কনফার্মড’ হল কি না জানতে পারেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে। কিন্তু সংস্থার দাবি, যাত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা ‘কনফার্মড’ হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে আভাস দিতে পারে। কোন ট্রেন কতটা দেরিতে চলছে, পথ বদল বা ট্রেন বাতিল হল কি না, সেই তথ্যও মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy