লোকসভায় জেটলি। ছবি: পিটিআই।
ভারতের শেয়ার বাজারে প্রাণ ফেরাতে এপ্রিল থেকে বিদেশি আর্থিক সংস্থাকে মূলধনী লাভে ম্যাটে ছাড় দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা পুরনো বকেয়া কর মেটানোর দায় থেকে রেহাই দিলেন না তাদের। তিনি জানান, বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন।
কাল থেকে তিন দিন বাজার বন্ধ। তাই আগামী সপ্তাহেই এর প্রভাব নজরে আসবে বলে আশা। এখনও পর্যন্ত ভারতের শেয়ার বাজারের অন্যতম চালিকাশক্তির ভূমিকায় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা বা এফআইআই-রা।
অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার লোকসভায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিদেশি সংস্থার শেয়ার বা ঋণপত্র লেনদেনে মূলধনী লাভে এপ্রিল থেকে ম্যাট বসানো হবে না। পাশাপাশি, তারা রয়্যালটি, সুদ ও কারিগরি পরিষেবা খাতে যে-অর্থ আয় করে, তা-ও থাকবে ম্যাট-এর বাইরে। তবে এ ধরনের আয়ে করের হার ১৮.৫ শতাংশের কম হলে তবেই এই সুবিধা মিলবে। বর্তমানে ম্যাটের হার ১৮.৫%।
ঋণপত্র ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড বা ডেট ফান্ড সংস্থাগুলিও এর জেরে কিছুটা স্বস্তি পাবে, কারণ সুদ খাতে আয়ে এপ্রিল থেকে ম্যাট বসছে না। বাণিজ্যিক আবাসনে লগ্নির জন্য গড়া রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (আরইআইটি)-এর ইউনিট লেনদেনও ম্যাট-এর আওতায় আসবে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
গত সপ্তাহেও সিঙ্গাপুর, মরিশাসের মতো যে-সমস্ত দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বৈত কর প্রতিরোধ চুক্তি রয়েছে, সে সব রাষ্ট্রের আর্থিক সংস্থার ওপর ম্যাট না-বসানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। বাদবাকি দেশের সংস্থারাও চাইলে এই কর এড়াতে আদালতে আর্জি জানাতে পারে বলে জানায় কেন্দ্র। যার জেরে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে অনেক সংস্থাই। প্রসঙ্গত, মূলধনী বাজারে লগ্নিকারী বিদেশি সংস্থার বকেয়া মূলধনী লাভের উপর ২০% ম্যাট বসানো নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। গত ৩ বছর ধরে তাদের বকেয়া নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছ থেকে ম্যাট জমা দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছে তারা। এর জেরেই ক্ষুব্ধ বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি টানা শেয়ার বিক্রি করে চলেছে। তাদের ক্ষোভ মেটাতেই ম্যাটে রেহাই দিলেন জেটলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy