রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
খাদ্যপণ্যের দামকে নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্যে গত আটটি ঋণনীতিতে সুদের হারে হাত ছোঁয়ায়নি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এক বছরের বেশি সময় তা আটকে রয়েছে ৬.৫ শতাংশে। যদিও শেষ বৈঠকে ঋণনীতি কমিটির ছ’জন সদস্যের মধ্যে দু’জন সুদ কমানোর পক্ষে মত দেন। এ বার প্রকাশ্যেই তা ব্যক্ত করলেন ওই দুই বহিরাগত সদস্য জয়ন্ত আর বর্মা এবং অসীমা গয়াল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, তৃতীয় বহিরাগত সদস্য শশাঙ্ক ভিডে ঋণনীতি বৈঠকে সুদ না কমানোর পক্ষে ভোট দিলেও, আর্থিক বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ফলে আগামী বৈঠক (৬-৮ অগস্ট) নিয়ে কৌতুহল বাড়তে শুরু করল।
দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমে মে মাসে ৪.৭৫ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তা রয়ে গিয়েছে ৮ শতাংশের উপরে। যা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, খাদ্যপণ্যের দামকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আগে দুঃসাহসিক কোনও পদক্ষেপ করা অর্থহীন। তা মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এত দিনের লড়াইকে মাটি করে দিতে পারে।
আজ আইআইএম আমদাবাদের অধ্যাপক বর্মা বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি কমছে। এখন ঋণনীতিতে আর্থিক বৃদ্ধি এবং মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে একটা ভারসাম্য আনা উচিত।’’ ঘটনাচক্রে আজ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮%। বর্মার মতে, ভারতের ৮% হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে এ বার সুদ কমানো দরকার। সে ক্ষেত্রে শিল্পমহলের ঋণের খরচ কমবে। বাড়বে বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান। অসীমার বক্তব্য, ‘‘আমরা খাবারের দামের প্রভাবের দিকে এক বছর লক্ষ্য রেখেছি। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়। সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হলে মূল্যবৃদ্ধির উপরে তার বড় কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy