আইএলঅ্যান্ডএফএস নিয়ে চর্চা জারি থাকতেই বিতর্কের মুখে আর এক এনবিএফসি (ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান)। অভিযোগের আঙুল এ বার দিওয়ান হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশনের (ডিএইচএফএল) দিকে। পাল্টা বিবৃতিতে সংস্থার অবশ্য দাবি, বাজেটের মুখে তাদের নামে এই প্রচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত এক নিউজ পোর্টালের অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থাকে বিপুল ঋণ দিয়েছে ডিএইচএফএল। যেগুলি সংস্থার প্রোমোটার বা তাঁদের পরিচিতদের সঙ্গে সম্পর্কিত। বহু সংস্থার ডিরেক্টর ও অডিটরের নাম, এমনকি ই-মেল আইডি পর্যন্ত এক। অথচ ধার দেওয়া হয়েছে সে সব খতিয়ে না দেখেই। অভিযোগ, ধারের টাকা পরে দেশের বাইরে সরিয়ে ঢালা হয়েছে প্রোমোটারদেরই বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্পে। পোর্টালটির দাবি, সব মিলিয়ে কেলেঙ্কারির অঙ্ক ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তাদের তথ্য, ডিএইচএফএলকে প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে ৩২টি ব্যাঙ্ক।
ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ঋণের বড় অংশ অনুৎপাদক সম্পদ হলে, দায় কার? পোর্টালটির অভিযোগ, গুজরাত ও কর্নাটকে ভোটের আগে সেখানকার ঠিকানার কিছু ভুয়ো সংস্থায় টাকা গিয়েছে। বিজেপিকে ১৯.৫ কোটি চাঁদাও দিয়েছে প্রোমোটারদের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩ সংস্থা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী হামেশাই নিজেকে চৌকিদার বলে দাবি করেন। তা হলে তাঁর সরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সেবির নাকের ডগায় এটা ঘটল কী ভাবে? তবে কি সব দেখেও না দেখার চাপ ছিল? বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের প্রশ্ন, এই জন্যই কি এনবিএফসির হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র?
ডিএইচএফএলের অবশ্য অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে প্রশ্ন পাঠিয়েছে পোর্টালটি। সময় দেয়নি উত্তর দেওয়ার। তাদের দাবি, ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙেনি তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy