Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Axis Bank

মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এ নয়া ফাঁদ! গুগলে মিলছে ভুয়ো অ্যাপ, বিপদের মুখে গ্রাহকেরা

যে ব্যাঙ্কগুলির ভুয়ো অ্যাপ গুগলে পাওয়া যাচ্ছে, সেই ব্যাঙ্কগুলি হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই, ইয়েস ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সিটি ব্যাঙ্ক।

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২০
Share: Save:

আপনি যদি মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এ স্বচ্ছন্দ হন এবং নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য হাজির নয়া বিপদ। একটি তথ্যসুরক্ষা সংস্থার রিপোর্টে সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রকাশিত রিপোর্টটিতেবলা হয়েছে, গুগল অ্যাপে মিলছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাপ। যে ব্যাঙ্কগুলির ভুয়ো অ্যাপ গুগলে পাওয়া যাচ্ছে, সেই ব্যাঙ্কগুলি হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই, ইয়েস ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সিটি ব্যাঙ্ক।

গুগলে যে ভুয়ো অ্যাপগুলি রাখা আছে, তা দেখতে অবিকল মূল ব্যাঙ্কের অ্যাপের মতনই। ফলে গ্রাহকের পক্ষে সহজে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না, কোনটি আসল অ্যাপ। তাঁরা নিজের অজান্তেই ভুয়ো অ্যাপ নিজেদের মোবাইলে ডাইনলোড করছেন। আর মোবাইলের ব্যক্তিগত তথ্য সহ সমস্ত বেশ কিছু ব্যাঙ্কিং তথ্যও চলে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের কাছে। আর আপনি পড়ছেন বিপদের সামনে।

তথ্যসুরক্ষা সংস্থাটি এই তথ্য সামনে আনলেও সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর একটি রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যাঙ্কগুলির অনেকের কাছেই এই ধরনের ভুয়ো অ্যাপ সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই বলে জানানো হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে অন্তবর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জানানো হয়েছে সার্ট-ইন, অর্থাৎ কম্পিউটার সুরক্ষা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। ইয়েস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই নিজস্ব সাইবার দুর্নীতি বিভাগকে দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসি-এর তরফে প্রাথমিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: চাকরি হবে নেটে ভর করে, দাবি শিল্পের

ওই তথ্যসুরক্ষা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে প্রলুব্ধ করা হয়। অনেকে এটিএম থেকে টাকা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রস্তাবও দিয়ে থাকে। এছাড়া বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার মতো অফারের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে জালিয়াতির ফাঁদ। তথ্যসুরক্ষা সংস্থাটির গবেষকদের হিসেবে এভাবেই গ্রাহকদের অনেক তথ্য পৌঁছেছে জালিয়াতদের হাতে। আগাম সতর্কতা না নিলে যে কোনও দিন ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।

আরও পড়ুন: বিএস ৬-এর দিন ২০২০-র এপ্রিল

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভুয়ো অ্যাপ নতুন কিছু নয়। কারণ এখনও পর্যন্ত ভুয়ো অ্যাপ আটকানোর ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। অদূর ভবিষ্যতেও অ্যান্ড্রয়েডে ভুয়ো অ্যাপ আটকানো সম্ভব হবে কি না, এ নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখছেন না কেউই। তাই আপাতত মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহারেরআগে অতিরিক্ত সতর্কতাই গ্রাহকদের সামনে ফাঁদ থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা।

(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE