বাতিল নোট বদলে দেওয়া নিয়ে কথার খেলাপ করেছে কেন্দ্র ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
সোমবার এই অভিযোগে তাদের কাছে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, যার জবাব দিতে হবে শুক্রবারের (১০ মার্চ) মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে কেন সবাইকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বাতিল নোট বদলের অনুমতি দেওয়া হল না, ওই নোটিসে সেই কৈফিয়তই তলব করেছে শীর্ষ আদালত। জনৈক সুধা মিশ্রের আবেদনের ভিত্তিতে তারা এই নির্দেশ দিয়েছে। মিশ্রের অভিযোগ, নোট বদল করতে না-দিয়ে তাঁর ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর আবেদনের প্রতিলিপি কেন্দ্র ও আরবিআইয়ের কাছে জমা দিতে বলেছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এস কে কল-কে নিয়ে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন কেন্দ্রীয় সরকার ও আরবিআই-এর কাছে এই নোটিস পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর নোট নাকচের কথা ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নোট বদল করা যাবে। পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, মুম্বই, কলকাতা, নয়াদিল্লি, চেন্নাই ও নাগপুরে নোট বদলানো যাবে। যদি কেউ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্ক, ডাকঘর ও আরবিআইয়ের দফতরে তা না-করে থাকেন, তা হলে এই সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
আবেদনকারীর তরফে এ দিন আইনজীবী এর ভিত্তিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন অর্ডিন্যান্স জারি করে সকলের জন্য এই সুযোগ বন্ধ করা হল। উল্লেখ্য, অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, যাঁরা নোট বাতিলের পরের পঞ্চাশ দিনে দেশের বাইরে ছিলেন, যে-সব সেনা-কর্মী প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্তব্যরত ছিলেন কিংবা কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণে যাঁরা আগে নোট জমা বা বদল করতে পারেননি, শুধু তাঁরাই ৩১ মার্চ অবধি আরবিআইয়ে সেই সুযোগ নিতে পারবেন। ডিভিশন বেঞ্চের মতে এটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রের তরফে কথার খেলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রভাব জাতীয় আয়ে: জাতীয় আয়ের উপর নোট নাকচ প্রভাব ফেলতে পারে চলতি অর্থবর্ষের জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে। আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য এই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, বিশেষ করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাপ পড়বে বেশি। আচার্য সোমবার দাবি করেন, জিডিপি-র উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে না নোট-কাণ্ড। তবে মোটর সাইকেল বিক্রি ইত্যাদি ক্ষেত্রের এর জের কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy