অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন
অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন চাকরি ছাড়ার কথা বলার দিনেই রাহুল গাঁধীর দাবি ছিল, ‘‘উজ্জ্বল মেধাবীরা ডুবন্ত জাহাজ ছেড়ে পালাচ্ছেন। আরএসএসের অদৃশ্য হাত আছড়ে ফেলছে জাহাজকে।’’ এ বার সেই সুব্রহ্মণ্যনের ছেড়ে যাওয়া মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা পদে উত্তরসূরির খোঁজ নিয়ে পুরোদস্তুর বিতর্ক তৈরি করতে মাঠে নেমে পড়ল কংগ্রেস।
অভিযোগ, ওই পদে উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে যোগ্যতার মাপকাঠিই নামিয়ে ফেলছে মোদী সরকার। নতুন মুখ খুঁজতে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। পিএইচডি থাকলে ভাল। কিন্তু বাধ্যতামূলক বলা হয়নি। গবেষণায় চাওয়া হয়েছে মাত্র ছ’বছরের ন্যূনতম অভিজ্ঞতা। যা দেখে কংগ্রেসের প্রশ্ন, মুখ্য অর্থনীতিবিদ বাছাইয়ে এই তবে মানদণ্ড! এর থেকে তো কোনও ব্যাঙ্কে অর্থনীতিবিদের চাকরি পেতেও বেশি যোগ্যতা লাগে!
কংগ্রেস নেতা অহমেদ পটেলের কথায়, ‘‘সরকার কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতার মানকে লঘু করছে? ব্যাঙ্কেও তো এর থেকে বেশি যোগ্যতা লাগে।’’ প্রাক্তন মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনও মনে করেন, যে ভাবে ছ’বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে, তা রসিকতা। অন্তত ১০-১৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অনেকে আবার মনে করাচ্ছেন সুব্রহ্মণ্যন ও তাঁর পূর্বসূরি রঘুরাম রাজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত পরিচিতিকে।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ‘ফর্ম্যাট’ মেনে। তার মানে এই নয়, অযোগ্য কাউকে নেওয়া হবে। তাদের দাবি, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং প্রিন্সিপাল আর্থিক উপদেষ্টার খোঁজেও বিজ্ঞাপনের ধাঁচ এমন ছিল। কিন্তু নেওয়া হয়েছে বেশি যোগ্যদের। তবু বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন, সত্যিই তাই? নাকি আগে বেছে রাখা ‘নিজেদের লোক’ আনতে এমন বিজ্ঞাপন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy