বিলাসবহুল বাড়ি নয়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে মধ্যবিত্তের মাথার উপরে ছাদ তৈরিই বেশি লাভজনক। এই সারসত্য বুঝেছে আবাসন শিল্প। এ বার সেই একই পথে হেঁটে ভারতে মাঝারি দামের ফোনের বাজার ধরতে কোমর বেঁধেছে ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট সংস্থা।
স্মার্ট ফোন বা ফিচার ফোন। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, সংখ্যার নিরিখে সব ফোনেরই চাহিদা বেশি নতুন ক্রেতাদের বাজারে। সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরোনো প্রজন্ম কিংবা সদ্য অফিসের চৌকাঠে পা রাখা প্রজন্ম। প্রযুক্তির খুঁটিনাটি মুঠিবদ্ধ করতে এদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় রেস্ত। আর সেই বাধা সহজে টপকে যাওয়ার জন্যই ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের ফোনের বাজারে নিত্যনতুন ব্র্যান্ড আসছে বলে দাবি স্যামসাং-এর মোবাইল ব্যবসার অন্যতম কর্তা আরসাদ ওয়ার্সি। যে যুক্তি কাজ করেছে তাঁদের নতুন মোবাইল গ্যালাক্সি জে টু বাজারে ছাড়ার পেছনেও।
দেশি সংস্থা ভিডিওকন, লাভা ও ম্যাফেও এই পথে হাঁটছে। ভিডিওকন গোষ্ঠীরই সংস্থা কেএআইএল-এর প্রধান ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানান, মাঝারি দামের মোবাইলের বাজার দখল করতে দ্বিতীয় উৎপাদন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে কলকাতায়। ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি সেখানে ফিচার ফোন ও স্মার্ট ফোন, দু’টিই তৈরি হবে। ম্যাফের তরফে সজল রায় জানান, দৈনিক ৮,০০০ ফোন তৈরি করছে সংস্থা। আর এর সিংহভাগই কম দামি ফোন। দেশের ন’টি রাজ্যে ব্যবসা করা এই সংস্থা মাত্র ১০ মাসেই ৯ কোটির বেশি মোবাইল বিক্রি করেছে।
তরুণ প্রজন্মের দিকে নজর রেখে তৈরি ফোন বিক্রি করে গত এক বছরে ১০০% বিক্রি বাড়িয়ে নিয়েছে লাভা ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার অন্যতম কর্তা নবীন চাওলার দাবি, ফোন-ক্যামেরার উন্নত মানের প্রযুক্তিই তাঁদের নতুন ফোন পিক্সেল টু-এর মূল আকর্ষণ। আর সংস্থাটির কৌশল সেল্ফি-প্রিয় তরুণ প্রজন্মের বাজার ধরতেই।
চিনা সংস্থা শাওমি ও জিওনি প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করছে। শাওমির দাবি, গত এক বছরে ভারতে ৬০ লক্ষ ফোন বেচেছে তারা। সংস্থার কর্তা মনু জৈনের দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁরা ৪% বাজার দখল করেছে। তা আরও বাড়াতে এ বার তুলনায় কম দামের স্মার্ট ফোন ছাড়ছে তারা। এই লক্ষ্যেই ভারতের মাটিতে তৈরি হচ্ছে সংস্থার প্রাইম ব্র্যান্ড। শুধুই অনলাইনে নয়, এ বার থেকে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে মোবাইলের দোকানেও পাওয়া যাবে শাওমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy