Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Nirmala Sitharaman

বৃদ্ধি অবশ্যই চাই, কিন্তু সংস্কারকে অর্থনৈতিক ভারসাম্যও আনতে হবে

২০২০ সালে মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। গোটা এপ্রিল মাস লকডাউনের থাকার পর দেশের অর্থনীতির তখন ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পরন্তপ বসু
পরন্তপ বসু
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:০৪
Share: Save:

২০২০ সালে মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। গোটা এপ্রিল মাস লকডাউনের থাকার পর দেশের অর্থনীতির তখন ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। আর তারপরই মে মাসে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ইকনমিক স্টিমুলাস প্ল্যান ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার ওই পরিকল্পনায় নতুন কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে সংস্কারের প্রয়াস নেওয়া হয়। সোজা কথায় বলতে গেলে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সিধে করতেই এই পদক্ষেপ। এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য আটটি ক্ষেত্র— কয়লা, আকরিক, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের উৎপাদন, এয়ারস্পেস ম্যানেজমেন্ট বা আকাশপথ নিয়ন্ত্রণ, বিমান মেরামতি, শক্তি বণ্টন, মহাকাশ এবং পারমাণবিক শক্তি। অর্থনীতিকে চাগিয়ে তোলার এই প্রক্রিয়ার মূল সুরই ছিল বেসরকারিকরণ এবং বিকেন্দ্রীকরণ। যেহেতু আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ হতে যাওয়া বাজেটে এই নয়া আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে, তাই বিষয়টিকে একবার খতিয়ে নেওয়া দরকার।

পটভূমি

স্ট্রাকচারাল রিফর্ম বা কাঠামোগত সংস্কার কথাটির অর্থ এবং তাৎপর্য বুঝে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। তাই জেনে নেওয়া যাক এর সূত্র এবং অর্থ। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের মতে এই সংস্কার হল সেই বিশেষ নীতি যার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামোকে নতুন করে গড়ে তোলা যায়। যার দ্বারা ব্যবসা থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ নাগরিকের অর্থনৈতিক জীবনকে নতুন খাতে বইয়ে দেওয়া যেতে পারে। দেশের সার্বিক আর্থিক উন্নয়ন, উৎপাদন এবং সুষম বৃদ্ধি এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য।

ভারতের ক্ষেত্রে এমন সংস্কারের কথা উঠলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাওয়ের সময়ে শুরু হওয়া উদার অর্থনীতির কথা। সেই সময়ে অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। রাজকোষের টানাটানি সামলাতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করতে আর্থিক সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। টাকার অবমূল্যায়ন এবং ব্যাপক সংস্কার করা হয় ব্যাঙ্কের ঋণ-নীতিতে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন শিল্প-নীতি। সেই সময়ে সংস্কার নানা মহলে সমালোচিত হলেও পরবর্তী সময়ে কিন্তু দেখা গিয়েছে এর জন্যই দেশীয় অর্থনীতিতে বেশ কিছু ইতিবাচক ফল মিলেছে। বিদেশি বিনিয়োগ এবং ‘পোর্টফোলিও’ বিনিয়োগ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য রকমের। দেশের অর্থনীতির উপর সমান রকমের প্রভাব না পড়লেও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে, নাগরিকের আয়ু বেড়েছে এবং শিক্ষার হার বেড়েছে যদিও তার সঙ্গে অসাম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেই উদারীকরণ নীতির সুর রয়ে গেছে বাজপেয়ী পরিচালিত বিজেপি সরকার এবং কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকারের জমানাতেও। তার পরে আজকের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারও সেই একই সংস্কারের পথে হাঁটছে। দেশের কয়লা খনিগুলির মালিকানার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের যে একাধিপত্য ছিল তা শেষ হয়ে যায় ২০১৫ সালে দ্য কোল মাইনস স্পেশ্যাল প্রভিশন বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর। ২০১৭ সালের পয়লা জুলাই জিএসটি সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। আর এর মাধ্যমে পণ্য এবং পরিষেবা করকে যে খাতে বইয়ে দেওয়া হয় তাকে ভারতের ইতিহাসে বৃহত্তম কর সংস্কার বলে মনে করা যায়। আবার ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেউলিয়া আইন সংস্কার করা হয়। রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বন্ধর কাজও আরও দ্রুত করা হয়। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বর্তমান অর্থমন্ত্রী কর্পোরেট বা সংস্থা করকে বিপুল হারে কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। লক্ষ্য ছিল দেশে বহুজাতিক সংস্থাগুলির বিনিয়োগ টানা।

অতিমারির সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা সংস্কারের পরিকল্পনার জন্মের প্রেক্ষিত কিন্তু এটাই। ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া উদারীকরণ নীতির সঙ্গে বহু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় সীতারমনের পরিকল্পনার। এখন প্রশ্ন হল, এই সংস্কার ভারতীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধিতে কতখানি সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে, এই প্রশ্নটা অনেকখানি জটিল হয়ে উঠেছে করোনা অতিমারির কারণে। বিমুদ্রাকরণ বা ডিমনিটাইজেশনের ব্যর্থতাও সীতারমনের সংস্কার পরিকল্পনার উপর একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছে।

কেমন করে এবং কাদের জন্য সংস্কার?

ভুললে চলবে না যে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশের দারিদ্র কমলেও তা এখনও বিস্ময়কর রকমের বেশিই। বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নেই। আর অতিমারির সময়ে এই সমস্যা আরও বড় আকার নিয়েছে। অতিমারির কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। যাঁদের কাজ আছে, তাঁদেরও রোজগার কমে গিয়েছে অনেকখানি। খেয়াল করে দেখুন যে আটটি ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে কিন্তু কৃষির উল্লেখ নেই। অথচ কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিপুল পরিমাণ সরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে সেচ-এর মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ ভীষণই দরকার। অথচ দেশে গোটা কয়েক আর্থিক সংস্কার ঘটে গেলেও ঐতিহাসিক রকমের বঞ্চনার শিকার কৃষিক্ষেত্রটি।

দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও মনোযোগ দেওয়া হয়নি কোনও আর্থিক সংস্কারে। হতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে হাসপাতালগুলিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে, এর জন্য আলাদা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে, কিন্তু দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য এমন একটা ব্যবস্থা কেমন করে করা যাবে বা আদৌ সেটা কতখানি সম্ভবপর তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা পাওয়া যায়নি। গ্রামীণ হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার সঠিক পরিকাঠামোই অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। গ্রামের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসার ভাল ব্যবস্থা নেই বলেই ভিড় উপচে পড়ছে শহরের হাসপাতালগুলোয়। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও রোগীদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। এই যেখানে হাসপাতালের দশা সেখানে কোভিড টিকা সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া কতখানি সম্ভবপর তা জোর গলায় বলা যাচ্ছে না। দেশে কোভিড পরীক্ষাও কিন্তু চালানো হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তুলনামূলক ধনী রাজ্যগুলিতেই।

তৃতীয়ত, এই আর্থিক সংস্কারে দেশের সার্বিক শিক্ষা নিয়েও কিছু বলা হয়নি। মানুষ বা নাগরিককে যদি আমরা অর্থনীতির মূলধন (হিউম্যান ক্যাপিটাল) হিসেবে দেখি তা হলে একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই এর বিকাশ সম্ভব। তার ফলে শ্রমের উৎপাদনক্ষমতা ও উৎকর্ষ বাড়বে সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।

চতুর্থত, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রেও (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ বা এসএমই) যথেষ্ট উদাসীন থেকেছে এই সংস্কার। অথচ স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে অতীতে বিমুদ্রাকরণে এবং পরে অতিমারিতে এসএমই মারাত্মক রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ ব্যাঙ্ক এই সংস্থাগুলিকে ঋণ দিতে কিছুতেই রাজি নয়। সংস্কার প্রক্রিয়ায় এই সব এসএমই-র জন্য কিছু ব্যবস্থা করতেই হবে, কারণ দেশের নানা ক্ষেত্রে নানা কিছুর জোগান দিয়ে সার্বিক উৎপাদনে এরাই অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও এদের ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাই এসএমই-র ব্যাপারে সরকারকে আরও উদার হয়ে ভাবতে হবে। সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করলে এবং ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করলে এসএমই-গুলি চাঙ্গা হওয়ার সুযোগ পেতে পারে।

অতিমারিতে কিন্তু বাজারের সাপ্লাই চেন বা সরবরাহ শৃঙ্খল মারাত্মক রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ তা মেরামত করে নেওয়ার কোনও কথাই সংস্কারে বলা হয়নি। উৎপাদন স্বাভাবিক করার পাশাপাশি তো সরবরাহের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে উন্নত করাও তো অত্যন্ত জরুরি, যার মধ্যে অন্যতম হল সড়ক সংস্কার ও নয়া সড়ক নির্মাণ। এই কাজটি করার জন্য বিপুল পরিমাণ সরকারি বিনিয়োগ দরকার। তা নিয়ে ভাবনার ছায়াটুকুও এখনও স্পষ্ট হয়নি।

বেসরকারিকরণ

দেশের সংস্কারের অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হল বহু ক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারিকরণ। এ ব্যাপারে ধরে নেওয়া হয় যে বেসরকারিকরণের মধ্য দিয়ে কর্মোদ্যম বাড়বে, নতুনত্ব আসবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণকে স্বাগত জানানোই যেতে পারে। যেমন ধরা যাক ব্যাঙ্কিং। এই ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে অলাভজনক প্রকল্পগুলিতে অনর্থক ঋণ দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থাকে উন্নত করা যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ মোটেই শুভ নয়। এতে খরচ অত্যধিক বেড়ে গিয়ে তা বিপুল সংখ্যক স্বল্প রোজগেরে মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে। একই সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্যের বণ্টন ব্যবস্থায় বেসরকারি অনুপ্রবেশ ঘটলে। তেমন ধরনের একটি সমস্যা ইতিমধ্যেই দেশে দানা বেঁধেছে।

প্রয়োজন সর্বজনীন সংস্কারের

সংস্কারের মূল লক্ষ্য বৃদ্ধি কিন্তু তাতে যেন ভারসাম্য থাকে (ব্যালান্সড গ্রোথ)। বৃদ্ধি হল কিন্তু তাতে কেউ কেউ লাভবান হল আর অন্যদের ক্ষেত্রে লাভের গুড় পিঁপড়েতে খেল তাতে উন্নয়ন পিছিয়ে পড়ে। বৃদ্ধির ভারসাম্য রাখতে হলে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে রক্ষা করাটা জরুরি। আর ভারতের নিরিখে বিচার করলে এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির তালিকায় রাখতে হবে কৃষি, স্বাস্থ্য, এসএমই, সাপ্লাই চেন এবং শিক্ষা-কে। এই দিক দিয়ে বিচার করেই বলা যেতে পারে যে সংস্কারকে হতে হবে ইনক্লুসিভ বা সর্বজনীন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সংস্কারের কিছু ইতিবাচক দিক অবশ্যই রয়েছে। কয়লা, খনিজ, শক্তি উৎপাদন, বিমান পরিবহণ, পারমাণবিক শক্তির মতো ক্ষেত্রগুলিতে গুরুত্ব বাড়ালে দেশের অর্থনীতিতে উৎপাদনের দিকটিতে উন্নতি ঘটবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সংস্কারে কোন কোন দিকগুলিতে ঘাটতি রয়েছে আর কোন ক্ষেত্রগুলি সর্বজনীন হবে সেটি পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন। সংস্কারের লক্ষ্য যদি হয় সুষম বৃদ্ধি তা হলে দেশের সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষকে জড়িয়ে নিয়েই তা ভাবতে হবে, তা না হলে অর্থনীতির ভারসাম্য সঠিকভাবে রক্ষা করা যাবে না। এমন সর্বজনীন পরিকল্পনা তৈরি করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। বৃদ্ধি এবং অসাম্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখতে হবে সমস্ত সংস্কারেই একদল যেমন লাভবান হন, তেমনই আর এক অংশ ক্ষতিগ্রস্তও হন। ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া মানুষ যেন পুনর্বাসন পেতে পারেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতি নিতে হবে সরকারকেই। অতিমারির সময়ে দেশের প্রান্তিক মানুষজন যেখানে মারাত্মক সমস্যার মধ্যে এমনিতেই রয়েছেন, তখন বিষয়টিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতেই হবে। আগামী কেন্দ্রীয় বাজেটে এই সমস্ত দিকগুলিকে সরকার কতখানি বিবেচনার মধ্যে আনেন সেটাই এখন দেখার।

(লেখক ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE