—প্রতীকী চিত্র।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান আগেই জানিয়েছিল, অতিমারির আবহে বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে বড় ফ্ল্যাটের চাহিদা বেড়েছে। দামি এবং বিলাসবহুল আবাসনের চাহিদা বাড়ছে সমাজের একাংশের হাতে অঢেল পুঁজি থাকার কারণেও। তাল মিলিয়ে বাড়ছে জোগান। ঠিক বিপরীত ছবি তুলনায় কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ির বাজারে, সম্প্রতি জানিয়েছিল আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক। সোমবার উপদেষ্টা অ্যানারকের রিপোর্টেও উঠে এল, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে সাধ্যের আস্তানার (অ্যাফর্ডেবল হাউসিং, অ্যানারকের হিসাবে যেগুলি ৪০ লক্ষ টাকার কম দামের) সরবরাহ কমেছে। কারণ, তার পড়তি চাহিদা। কোভিডের আগের থেকে দেশের বাজারে সেগুলির দখল নেমেছে অর্ধেকেরও বেশি। দামি ফ্ল্যাটের (দেড় কোটি টাকার বেশি) বেড়েছে তিন গুণ!
কলকাতা, দিল্লি-রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চল, মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চল, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও পুণে— দেশের প্রথম সারির এই সাতটি জায়গায় আবাসনের বাজার নিয়ে সমীক্ষায় অ্যানারকের পর্যবেক্ষণ, ২০১৮-র জুলাই-সেপ্টেম্বরে সাধ্যের নতুন ফ্ল্যাটের অংশীদারি ছিল ৪২%। এ বছর নেমেছে ১৮ শতাংশে! উল্টো দিকে, পাঁচ বছরে আগে বাজারে দামি (১.৫০ কোটি টাকার বেশি) নতুন ফ্ল্যাটের দখল ছিল ৯%। গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে পৌঁছেছে ২৭ শতাংশে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে কলকাতাতেই দামি ফ্ল্যাটের বিক্রি বেড়েছে আট গুণেরও বেশি। গত ত্রৈমাসিকে বিক্রি হয়েছে ১০৩০টি।
সংস্থার প্রধান গবেষক প্রশান্ত ঠাকুরের বক্তব্য, চাহিদা বাড়ায় নির্মাতা সংস্থাগুলির মধ্যে দামি ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরির আগ্রহ বাড়ছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই দাবি করছে, অতিমারির পরে যে ক্রেতারা ফ্ল্যাটের খোঁজ করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বড় এবং বিলাসবহুলের দিকে ঝুঁকছেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দামি ও বড় ফ্ল্যাটে নির্মাণ সংস্থার মুনাফা বেশি হয়। সেটিও এগুলির জোগান বৃদ্ধির কারণ। কোভিডকালের লোকসান পুষিয়ে নিতে চাইছে অনেকে। অন্য দিকে, কম দামি ফ্ল্যাটের লভ্যাংশ কম। জমির দামও চড়া। সব মিলিয়ে কম দামি ফ্ল্যাটের প্রকল্প অনেক সময়ে ব্যবসায়িক ভাবে অলাভজনক হতে পারে বলে দাবি আবাসন মহলের। বিশেষত যখন তার চাহিদা উধাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy