বিক্ষোভ: বার্ন কর্মীরা। হাওড়ার কারখানার সামনে। নিজস্ব চিত্র
বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিতেই ৪৫৪ জন কর্মীকে স্বেচ্ছাবসরের নোটিস পাঠিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংস্থা ফের চাঙ্গা হতে পারে, এই আশায় ৫৭ জন তা নিতে অস্বীকার করেন। মঙ্গলবার সেই ৫৭ জনকেই ছাঁটাই করেছে বার্ন। ফলে তাঁরা স্বেচ্ছাবসরের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হলেন। সংস্থার কর্মী ইউনিয়নের দাবি, এই ছাঁটাই বেআইনি। বুধবার এর প্রতিবাদে সংস্থার গেটে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
তবে বার্ন কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সংস্থা বন্ধের প্রস্তাবে সায় দেওয়ার সময় মন্ত্রিসভাই সমস্ত কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সঙ্গে জানিয়েছিল, কেউ তা নিতে না চাইলে ছাঁটাই করতে হবে।
বার্নে তৃণমূল সমর্থিত ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি গোপাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ, সংস্থা বন্ধের সিদ্ধান্তই বেআইনি। কারণ, দেউলিয়া আইনে কোনও সংস্থা বন্ধ বা ক্লোজারের ব্যবস্থা নেই। সেটিকে পুনরুজ্জীবিত করা অথবা সেটি গুটোনো বা লিকুইডেশনের নির্দেশ দিতে পারে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি)। এই যুক্তিতেই এনসিএলটির বার্ন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাদের আপিল আদালতে (এনসিএএলটি) গিয়েছিল কিছু পাওনাদার সংস্থা। সম্প্রতি সেই আদালত জানিয়েছে, বার্নের প্রোমোটার ভারতীয় রেলের অধিকার আছে নতুন করে বার্নকে চাঙ্গা করার। চাইলে তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারে। জমা দিতে পারে পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা। অন্যথায় সংস্থাটি গুটোনো (লিকুইডেশন) হবে।
উল্লেখ্য, সাধারণত কোনও সংস্থাকে তার মালিক নিজেই বন্ধ করলে তাকে বলে ক্লোজার। আর আদালতের লিকুইডেটর নিয়োগ করে তা গুটোনো হলে সেটি লিকুইডেশন। শুরুতে রেল বার্ন গুটোনোর সিদ্ধান্ত নিলেও, তা বন্ধের পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্তৃপক্ষই। যাতে সায় দেয় এনসিএলটি।
গোপালবাবুর বক্তব্য, ‘‘অথচ নোটিসে বলা হয়েছে সংস্থাটি বন্ধের প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবেই ওই ৫৭ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বার্ন কর্তৃপক্ষ ও রাজ্যকে চিঠি দিয়েছি। এর পরে আদালতে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy