অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের জন্য ১০টি ঋণ গ্রহীতা সংস্থার বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নিতে চলেছে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। খুব শীঘ্রই তাদের নামে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হবে।
ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও দীনবন্ধু মহাপাত্র জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেউলিয়া আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে যে ১২টি ঋণ খেলাপি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যেই ওই ১০টি রয়েছে। তবে সেগুলিকে যে শুধু ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া একাই ঋণ দিয়েছে, তা নয়। একাধিক ব্যাঙ্ক যৌথ ভাবে (কনসোর্টিয়াম অব ব্যাঙ্কস) ঋণ দিয়েছিল। দীনবন্ধুবাবু বলেন, ওই ১০টি অ্যাকাউন্টে তাঁরা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন, যা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে।
পাশাপাশি, ব্যবসা বাড়াতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ধাঁচে গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে ব্যাঙ্কটি। এ জন্য তারা ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজার’-এর পদ সৃষ্টি করেছে। দীনবন্ধুবাবুর দাবি, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে আমরাই এই ধরনের পরিষেবা প্রথম চালু করলাম।’’
তিনি জানান, রিলেশনশিপ ম্যাজেনারের প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহককে পরিষেবা দেওয়া। বিশেষ করে যে-সব গ্রাহক বেশি অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখছেন এবং ঋণ নিচ্ছেন (‘হাই ভ্যালু কাস্টমার’), তাঁদের এর আওতায় আনা হয়েছে।
ওই গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের নানা প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে অবহিত করবেন তাঁরা। পাশাপাশি পরিষেবার মান বাড়াতে পরিচালন ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে ব্যাঙ্ক। উদ্দেশ্য, দায়িত্ব ছড়িয়ে দেওয়া। দীনবন্ধুবাবু বলেন, ‘‘গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতেই এই সিদ্ধান্ত।’’ এর জন্য বাড়ানো হয়েছে আঞ্চলিক (জোনাল) ও এরিয়া দফতরের সংখ্যা। আগে প্রায় ১৫০টি শাখা দেখাশোনা করার জন্য এক জন বিশেষ অফিসার থাকতেন। এখন শাখার সংখ্যা ৩০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।
২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কের লোকসান ছিল ৬,০৮৯ কোটি টাকা। ২০১৬-’১৭ সালে তা নেমেছে ১,৫৪৮ কোটিতে। দীনবন্ধুবাবুর আশা, মুনাফা হবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে।
ঘুরে দাঁড়াতে
• দেউলিয়া আইনের হাত ধরে ব্যবস্থা
• শীঘ্রই মামলা দায়ের ট্রাইব্যুনালে
সঙ্কট যেখানে
• ১০টি অ্যাকাউন্টে ঋণ ৮ হাজার কোটি
• পুরোটাই অনুৎপাদক সম্পদের খাতায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy