আমাদের বাস্তুতে উর্জা (শক্তি), পঞ্চতত্ত্ব (ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম) এবং ত্রিগুণ (সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ) শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় নানারূপ Symbol ব্যবহার করা হয়। গত পর্বে এ কথা আপনাদের জানিয়েছিলাম। বাস্তুর কোনও অংশে ত্রুটি বা দূষণ থাকলে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, অনেকাংশে সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় Symbol Meditation. পেশাদার জীবনে বহু ক্ষেত্রে আমি নিজে এর প্রয়োগ করেছি। এই পর্বে তেমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি কেস স্টাডি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব। সফল উদ্যোগপতি মিঃ আর. চট্টোপাধ্যায় (সম্পূর্ণ নাম এখানে প্রকাশ করছি না) এবং তাঁর পরিবার প্রায় ১৩ বছর ধরে আমার সঙ্গে যুক্ত। তিনি এবং তাঁর দাদা যৌথভাবে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। দু-বছর আগে চট্টোপাধ্যায়বাবুর দাদা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর শ্যালককে ব্যবসার অংশীদার করবেন, এবং তাঁর অধীনে ব্যবসার যে ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে তার থেকে বেশ কিছু শেয়ারের মালিকানা নিজের শ্যালককে দিতে উদ্যত হন। এই সিদ্ধান্তে একেবারেই সহমত ছিলেন না চট্টোপাধ্যায়বাবু, কারণ তাঁর দাদার শ্যালক যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন না এমনকি তাঁর নামে আইনি প্রতারণার অভিযোগও ছিল। পারিবারিক ব্যবসার বেশ কিছু শেয়ার এহেন ব্যক্তির মালিকানাধীন হলে, ব্যবসার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন চট্টোপাধ্যায়বাবু। অত্যন্ত জটিল স্ট্রেসফুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, দুই ভাইয়ের সম্পর্কেও চিড় ধরে। এই সময় চট্টোপাধ্যায়বাবুর একমাত্র কন্যা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনলাইন গণনার মাধ্যমে আমার কাছে সাহায্য চান। চট্টোপাধ্যায়বাবুর জন্ম বৃত্তান্ত এবং তাঁর বাস্তুর ডায়াগ্রাম খতিয়ে দেখার পর আমি তাঁর বাস্তু ভিজিট করি।
বাস্তুতেই লুকিয়ে সমস্যা
চট্টোপাধ্যায়বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম, তাঁর বাস্তুর ১৪০°-১৭০° অংশটি বর্দ্ধিত (এক্সটেন্ডেড), এবং ওই অংশেই রয়েছে বাড়ির একমাত্র দরজা। বাড়ির নকশা অনুসারে কোনওভাবেই দরজা বন্ধ করার উপায় ছিল না, অথচ ১৪০°-১৭০° ওই এক্সটেনশন এবং দরজাই চট্টোপাধ্যায়বাবুর ব্যবসায় সমস্যা ডেকে এনেছিল। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, বাস্তুমতে প্রত্যেক ব্যক্তির কিছু অনুকূল, সহায়ক দিক থাকে। সেই অংশে যদি কোনওভাবে কাট বা এক্সটেনশন থাকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই বাস্তু সমস্যা তৈরি করে। চট্টোপাধ্যায়বাবুর বাস্তুগত সহায়ক দিক ছিল ১৩৫°-১৭০°, প্রায় সেই অংশটিতেই এক্সটেনশন ওনার আর্থিক এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করছিল। দীর্ঘদিনের পারিবারিক ব্যবসায় দাদার শ্যালক যুক্ত হলে সুনাম-পসার-অর্থ নষ্ট হতে পারে, ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে, তাঁদের ব্যবসার পক্ষে দাদার শ্যালক হানিকারক.... এই বিষয়টি কোনওভাবেই বুঝতে পারছিলেন না চট্টোপাধ্যায়বাবুর দাদা। তাঁর যুক্তি বা ভয়কে গুরুত্বও দিচ্ছিলেন না। এমনকি তাঁদের যৌথ ব্যবসা রক্ষার্থে প্রচুর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও, দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মতামত-ভাবনা প্রকাশের কোনও অধিকারও ছিল না চট্টোপাধ্যায়বাবুর। যথাযথ দায়িত্ব পালন করেও ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ না পেয়ে রীতিমত মনোকষ্টে ভুগতেন তিনি। বাস্তুর সহায়ক অংশটিতে নেতিবাচক নির্মাণ তাঁকে এই ঝঞ্ঝাট-টেনশন-অ্যাংজাইটি-অশান্তিতে ফেলেছিল।
সমাধান কোন সূত্রে?
বাস্তুতে এক্সটেনশন থাকলেও কোনওভাবেই কাটা যাচ্ছিল না, অর্থাৎ আদর্শ (আইডিয়াল) আয়তক্ষেত্রের সেপে আনা সম্ভব হচ্ছিল না, এই ধরণের সমস্যাযুক্ত বাস্তুতে সমাধান সূত্র হিসেবে আমি নির্দিষ্ট কিছু হার্বস প্রয়োগ এবং মেডিটেশন করতে বলি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, বাস্তুতে অবস্থানকারী ৪৫টি দৈব ও আসুরিক শক্তি অনুসারে যে অংশটিতে এক্সটেনশন বা কাটা থাকে তার দরুণ যে আর্থিক বা মানসিক পীড়া উৎপন্ন হয় তা প্রশমিত করার জন্য নির্দিষ্ট হার্বস রয়েছে এবং রয়েছে বাস্তুতে কার্যকরী প্রায় ৮৬টি Symbol Meditation (অনেক সময় নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে)। Symbol প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, যে কোনও ত্রিভুজ হচ্ছে অগ্নিতত্ত্ব, ত্রিভুজের মাঝখানটি কেটে দিলে বায়ুতত্ত্ব, নিম্নমুখী ত্রিভুজ জলতত্ত্ব, নিম্নমুখী ত্রিভুজের মধ্যভাগে কেটে দিলে পৃথ্বীতত্ত্ব, সম্মিলিত উর্ধ্ধমুখী ও নিম্নমুখী ত্রিভুজ হল আকাশতত্ত্ব। বাস্তুতে নেতিবাচক নির্মাণ পঞ্চতত্ত্বের ভারসাম্য নষ্ট করে। সেই নেতিবাচক নির্মাণের সংস্কার করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনীয় হার্বস, একটি বা দুটি তত্ত্বের Symbol Meditation-এর মাধ্যমে অনেকাংশে উন্নতি আনা সম্ভব। চট্টোপাধ্যায়বাবুর কেসেই যেমন, প্রয়োগবিধির ৭-৮ মাসের মধ্যেই তাঁর আত্মবিশ্বাস-আধিপত্য বাড়তে আরম্ভ করে। ব্যবসায় পদমর্যাদা বৃদ্ধি হয়। তাঁর দাদা উপলব্ধি করেন, যে শ্যালক ব্যবসার ক্ষতি করতে পারেন। শেয়ারের মালিকানা থেকে সরিয়ে শ্যালককে সাধারণ কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করেন। দুই ভাইয়ের সম্পর্কে সদ্ভাব বাড়ে। এমনকি ব্যবসার কাঁচামাল যথাসময়ে ডেলিভারি, আর্জেন্ট কনসাইনমেন্ট বা প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল সেগুলিও ধীরে ধীরে মিটতে আরম্ভ করে। চট্টোপাধ্যায়বাবুর মতো আরও অনেকেই রয়েছেন যাঁদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগবিদ্যা এবং Symbol Meditation-এর মাধ্যমে উন্নতি হয়েছে।
মুদ্রার ভূমিকা
যে কোনও বাস্তুতে উত্তরদিকে ৩টি, দক্ষিণ দিকে ৩টি, পূর্বদিকে ৩টি এবং পশ্চিমদিকে ৩টি এনার্জি ফিল্ড থাকে। এছাড়াও ৪টি কোণায় ৭টি করে এনার্জি ফিল্ড থাকে। বাস্তুর ঠিক মধ্যস্থানে থাকেন ব্রহ্মা এবং ব্রহ্মাকে কেন্দ্র করে আরও ৪টি এনার্জি ফিল্ড রচিত হয়। এইভাবে বাস্তুর ৪৫টি উর্জাকে ঘিরে থাকে ৪৫টি এনার্জি ফিল্ড (দৈব এবং আসুরিক)। এনার্জি ফিল্ডগুলিকে ব্যালেন্স করতে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১৮টি বিশেষ মুদ্রার কার্যকারিতা আছে। ইন্সপিরেশন, মোটিভেশন এবং অবিচলিত প্রচেষ্টা বৃদ্ধিতে মুদ্রার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পরবর্তী পর্বে কিছু কিছু কেস স্টাডির মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা দেব।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy