২২ নভেম্বর ২০২৪
Astrology

চিহ্ন ও মুদ্রার গুরুত্ব বাস্তুতে অপরিসীম, জানাচ্ছেন শ্রী মণি ভাস্কর

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রজাপতির কথা। উচ্চমার্গীয় ধ্যানযোগে অ্যানিম্যাল স্পিরিট হিসেবে প্রজাপতিকে গণ্য করা হয়।

আলোচনায় শ্রী মণি ভাস্কর
এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২৮
Share: Save:

Symbol আসলে কী? কোথা থেকেই বা এর উৎপত্তি? প্রথমে গ্রিক শব্দ symbolon বা sign থেকে ল্যাটিন শব্দ symbolum-এর উৎপত্তি হয়। ল্যাটিন শব্দ symbolum পরবর্তীতে Symbol শব্দটির উৎস।

মেডিটেশন-এর বিভিন্ন চিহ্ন

মেডিটেশনে Symbol-এর ব্যবহার

মেডিটেশনের ক্ষেত্রে Symbol কখনও চিহ্ন, কখনও শব্দ বা এমন কিছু প্রতীক যা বিশেষ কোনও বস্তু, ধারণা বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে দৈব সম্পর্ক স্থাপনকেও সূচিত করে। বিভিন্ন মানচিত্রে যেমন, নীল রঙে অঙ্কিত রেখার সাহায্যে নদী-জলাশয়কে চিহ্নিত করা হয়, লাল গোলাপ প্রেম-ভালোবাসা-আবেগ-করুণার প্রতীক, ঠিক তেমনই মেডিটেশনের সময় Symbol গুলি নানান শব্দ, ধ্বনি, ইঙ্গিত, বিচার-ভাবনা বা চলমান দৃশ্যমালার জন্ম দেয়, যার দ্বারা অপরের বিচারধারা এবং সিদ্ধান্ত পরিব্যক্ত করা যায়। যেমন ইংরাজি ৮ সংখ্যাটিকে অনুভূমিক (♾️) ভাবে লিখলে তা ইনফিনিটি বা অনন্তকে বোঝায়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রজাপতির কথা। উচ্চমার্গীয় ধ্যানযোগে অ্যানিম্যাল স্পিরিট হিসেবে প্রজাপতিকে গণ্য করা হয়। প্রজাপতি এক্ষেত্রে সময় এবং সাংস্কৃতিক রূপান্তরের (মেটামরফোসিস) প্রতীক। আমরা উল্লেখ করতে পারি, আদি-অন্তহীন চিরন্তর গ্রন্থির (ইটারনাল নট) কথা, সংস্কৃতে যাকে বলা হয় 'শ্রীবৎস'। অনেকক্ষেত্রে এই শ্রীবৎস-কেই বুদ্ধের জ্ঞান এবং করুণা রূপেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বুদ্ধের জ্ঞান এবং করুণা রূপে বর্ণিত হলেও শ্রীবৎস-এর উৎপত্তি কিন্তু ভারতেই। শ্রী বিষ্ণুর হৃদয়ে শ্রীদেবী অর্থাৎ দেবী লক্ষ্মীর প্রতিরূপ হিসেবে শ্রীবৎস-এর উল্লেখ রয়েছে (বিষ্ণুপুরাণ, পর্ব-১, অধ্যায়-২২, শ্লোক নং- ৬৯)। শুধুমাত্র সনাতন ধর্ম বা বৌদ্ধ ধর্মমতে নয়, খ্রীস্টধর্মেও রয়েছে বিবিধ Symbol-এর উল্লেখ। যেমন, খ্রীস্টধর্মে সেল্টিক নট বা ট্রিনিটি নটকে বর্ণনা করা হয়েছে পবিত্র ত্রিশক্তি রূপে (ফাদার, সন, হোলি স্পিরিট--- পরমেশ্বর, তাঁর সন্তান এবং পবিত্র আত্মা)। আবার গ্রিক বর্ণমালার প্রথম অক্ষর 'আলফা' এবং শেষ অক্ষর 'ওমেগা'-কে পাশাপাশি ব্যবহার করে যে Symbolটি তৈরি হয়, খ্রীস্টধর্মে তাই হল ঈশ্বরের প্রতিরূপ। এভাবেই স্পর্শক বৃত্ত, সমকেন্দ্রিক বৃত্ত, সুসংগত বৃত্তের মতো বিভিন্ন Symbol-এর অন্তর্নিহিত, গূঢ় প্রয়োগ রয়েছে আমাদের শাস্ত্রে এবং বাস্তুতে। পেশাদার জীবনে আমি বহু Symbol নিয়ে অধ্যয়ন করেছি, যার মধ্যে প্রায় ৮৬ ধরনের প্রধান Symbol-এর প্রয়োগ আমি করেছি বাস্তুর সংস্কারের জন্য। সে সব কেস স্টাডি পরের পর্বে জানাবো।

যজ্ঞ-মন্ত্র-চিহ্ন

হোম-যজ্ঞ ক্রিয়াদিতে পাঠ করা হয়, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র, 'ওঁ ত্র্যম্বকম্ যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্। উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যোর্মোক্ষীয় মামৃতাৎ'-এই মন্ত্রে 'ত্র্যম্বকম্' রূপে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবাদিদেব মহাদেবকে। 'ত্র্যম্বকম্' অর্থাৎ ত্রি-নেত্র, জ্ঞানচক্ষু। জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষের অর্থ উপলব্ধির নব-দিগন্ত উন্মোচন, চেতনার গভীরে প্রবেশ। দেবাদিদেব মহাদেব, তাঁর জ্ঞানচক্ষু, ত্রিশূল, ফণাধারী সর্প, অর্ধচন্দ্র এবং অপেক্ষমান নন্দী প্রত্যেকটির সুগভীর প্রয়োগ এবং দ্যোতনা রয়েছে মেডিটেশনে। জ্ঞানচক্ষু অর্থাৎ, প্রয়োজন এবং যোগ্যতমের উদবর্তনের অনেক বাইরে আনন্দময় পৃথিবীর আনন্দময় জীবনের আস্বাদন, অপেক্ষারত নন্দী যেন চির প্রতীক্ষার এক অক্ষয় প্রতীক, ত্রিশূল যেন জীবনের প্রধান তিনটি দিক, ত্রি-নাড়ী, ইড়া-পিঙ্গলা এবং সুষুম্না। যা আসলে আমাদের প্রাণময় কোষের প্রধান তিনটি নাড়ী (বাম-দক্ষিণ এবং মধ্য) এবং আমাদের প্রধান তিনটি তত্ত্ব (সত্ত্ব-রজঃ এবং তমঃ) শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। বাস্তুতেও এই ত্রিগুণ (সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ) শক্তির রচনা বিন্দু নির্মাণ এবং উর্জার ভারসাম্য রক্ষার জন্য নানারূপ Symbol-এর ব্যবহার করা হয়। যা বহু ক্ষেত্রে বাস্তুগত সমস্যা সমাধানে আমি নিজে প্রয়োগ করেছি।

দেবাদিদেবের জটাস্থিত অর্ধচন্দ্র এখানে বাস্তুর 'সোম' বা মতান্তরে 'সোমা', যা চিরজাগ্রত শক্তির প্রতীক। মহাদেবের কন্ঠদেশের ফণাধারী সর্পও আদতে একটি Symbol. এই সর্প আমাদের বিশুদ্ধ চক্রের (থ্রোট চক্র) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশুদ্ধ অর্থাৎ শুদ্ধিকরণ বা ফিল্টার করা। এখানে প্রতিকাত্মক অর্থে বলা হচ্ছে, আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের (চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা-জিহ্বা-ত্বক) সাহায্যে চেতনে বা অবচেতনে যে সমস্ত বিষাক্ত-যন্ত্রাদায়ক-ক্ষতিকর-নেতিবাচক তথ্য আমরা সংগ্রহ করি, বিশুদ্ধ চক্র শক্তিশালী হলে সেই সমস্ত সংগৃহীত তথ্যের ঋণাত্বক ভাব আমাদের চিন্তায় প্রভাব ফেলতে পারবে না। মানবদেহের প্রধান ৭টি শক্তিচক্র বিষয়ে আগে আমি আলোচনা করেছি। সেখানে উল্লেখ করেছি, শক্তিচক্রের সঙ্গে আমাদের বাসগৃহের কী সম্পর্ক এবং প্রভাব। শক্তিচক্রের ভারসাম্যহীনতা যেমন আমাদের বাস্তুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তেমনই বিপরীত প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। বাস্তু এবং শক্তিচক্র একে অন্যের উপর নির্ভরশীল, এবং এই দুটি ক্ষেত্রেই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে Symbol Meditation. সঠিক পদ্ধতিতে Symbol Meditation আমাদের Socially Secured এবং Spiritually Matured হতে সাহায্য করে।

মেডিটেশনে বিভিন্ন মুদ্রার ভূমিকা নিয়ে আগামী পর্বে আলোচনা করা হবে।

Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।

অন্য বিষয়গুলি:

Astrology Vastu Horoscope Meditation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy