E-Paper

ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা আর্কিটেকচারে স্নাতক ডিগ্রির পর কোন পথ বেছে নেবেন

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর পড়ুয়ারা দেশ কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে পারে আবার নিজ নিজ ক্ষেত্রে চাকরিতেও যোগ দিতে পারে। যে কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর অর্থাৎ মাস্টার্স কোর্স করার জন্য এক জন পড়ুয়াকে গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিচিউড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (GATE) দিতে হয়

ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন

ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১৮:২৬
Share
Save

একুশ শতকে এসে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার, দুটো বিষয়ই একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই উচ্চশিক্ষা বেশ আকর্যণীয় হয়ে উঠেছে কারণ শিক্ষার্থীর সামনে খুলে যাচ্ছে কেরিয়ারের বিভিন্ন বিকল্প। কার্য ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রয়োগ করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সামনে নতুন বিষয়ে পারদর্শী হওয়ারও সুযোগ তৈরি করে দেয় এই দুই বিষয়ের উচ্চশিক্ষা।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর পড়ুয়ারা দেশ কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে পারে আবার নিজ নিজ ক্ষেত্রে চাকরিতেও যোগ দিতে পারে। যে কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর অর্থাৎ মাস্টার্স কোর্স করার জন্য এক জন পড়ুয়াকে গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিচিউড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (GATE) দিতে হয়। একই ভাবে কোনও কলেজে ম্যানেজমেন্টের কোর্সে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে কমন অ্যাপ্টিচিউড টেস্ট (CAT) দিতে হয়। প্রথম বিকল্প বেছে নিলে গবেষণা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের সুযোগ তৈরি হয়। দ্বিতীয় বিকল্প ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স, হিউম্যান রিসোর্সের মতো কেরিয়ারের অসংখ্যা বিকল্প পথ খুলে দেয়।

একই ভাবে কেউ স্থাপত্যবিদ্যা বা আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতক হয়ে থাকলে সে পরবর্তী কালে এই বিষয়ে স্নাতকোত্তর করতে পারে। এ ক্ষেত্রে হেরিটেজ সংরক্ষণ (Heritage Conservation) এবং আর্বান প্ল্যানিং (Urban Planning)-এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে পড়া যায়। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দিতে চাইলে নন-ম্যানেজমেন্ট কোর্সের জন্য গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এগজ্যামিনেশন (GRE) দিতে হয় এবং ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত পড়াশোনার জন্য গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (GMAT) পাস করতে হয়। সেই সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য TOEFL অথবা IELTS পরীক্ষায় বসতে হয়।

B.Tech কিংবা B.Arch নিয়ে স্নাতক হওয়ার পরে অনেক ছাত্রছাত্রীই উচ্চশিক্ষার পথে না হেঁটে চাকরি শুরু করে। এতে কলেজে পাওয়া তাত্ত্বিক জ্ঞান কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের সুযোগ মেলে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরে দখলও বাড়ে।

মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিসরে কয়েকটা কাজের জায়গা হল:

১. অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

২. এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. বায়োমেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লুইড মেক্যানিক্স

৪. গ্রাউন্ড ভেহিক্যাল সিস্টেমস

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিসরে কিছু কাজের জায়গা হল:

১. কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

২. স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. হাইওয়ে ও ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং

৪. জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৫. ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং

৬. এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৭. আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং

ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিসরে কয়েকটা কাজের জায়গা হল:

১. কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সিগন্যাল প্রসেসিং

২. পাওয়ার সিস্টেমস

৩. কন্ট্রোল সিস্টেমস

৪. মাইক্রোইলেকট্রনিক্স

৫. ইন্সট্রুমেন্টেশন

৬. ইলেকট্রোম্যাগনেটিক্স

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিসরে কিছু কাজের জায়গা হল:

১. মেশিন লার্নিং অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

২. রোবোটিক্স

৩. সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট

৪. অপারেটিং সিস্টেমস অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং

৫. ডেটা মাইনিং

৬. ডেটা অ্যানালিটিক্স

৭. ইনফরমেশন টেকনোলজি

আর্কিটেকচারের পরিসরে কয়েকটা কাজের জায়গা হল:

১. ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার

২. আর্বান প্ল্যানিং

৩. আর্বান ডিজাইনিং

৪. রেস্টোরেশন আর্কিটেকচার

৫. এক্সট্রিম আর্কিটেকচার

৬. লাইটিং আর্কিটেকচার

৭. সাস্টেনেবিলিটি ডিজাইন আর্কিটেকচার

যদিও ইদানীং বিভিন্ন সংস্থা এমন পেশাদার খোঁজে, যারা একাধিক ক্ষেত্রে পারদর্শী এবং বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের ধারণা কাজে লাগিয়ে যারা যে কোনও সমস্যার সমাধানসূত্র বার করতে পারে। যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কম্পিউটার সায়েন্সের মতো মৌলিক শাখার অঙ্গ হলেও কনস্ট্রাকশন কিংবা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও এর প্রয়োগ রয়েছে। একই ভাবে সাস্টেনেবিলিটির প্রাথমিক শর্তগুলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আওতায় পড়লেও তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিটি শাখায় কর্মপদ্ধতি এবং পেশাদারি নীতির সঙ্গে জড়িয়ে।

এই সমস্ত বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনে এমন শিক্ষানীতি নেওয়া হয়েছে, যাতে মিশেছে ভবিষ্যতের ভাবনা। ফলে এই প্রতিষ্ঠানের যে কোনও বিভাগের পড়ুয়া পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পায়। এতে পরবর্তীতে তাদের অন্য কোনও বিষয় নিয়ে পড়াশোনা বা কাজ করা সহজ হয়ে যায়।

এই প্রতিবেদনটি ‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

engineering Career

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}