পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় যখন প্রথম ছবি ‘দোস্তোজী’ বানালেন তখন নিবেদক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ‘মানিকবাবুর মেঘ’ ছবিটি নিবেদন করেছিলেন পরিচালক বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়। এ বার পরিচালক কৃষ্ণেন্দু সান্নিগ্রাহীর ছবি ‘তোর্সা একটি নদীর নাম’ নিবেদন করছেন চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী।
সত্যিই অবাক করার মতো ঘটনা। কোন আকর্ষণে চিত্রশিল্পী যোগেনের মতো ব্যক্তিত্ব বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেলেন?
চিত্রকরের মতে, যুগ এগোচ্ছে। বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়ছে। আরও প্রযুক্তিনির্ভর একুশ শতকের জীবন। প্রেম, ভালবাসা, বন্ধুত্ব কি মরে যাচ্ছে? বিতর্কের পাল্লা যে দিকেই ভারী হোক, বিশেষ অনুভূতিগুলো ছবিতে জায়গা করে নিলে সেই ছবি দেখতে দর্শক হল ভরায়— এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তেমনই একটি ছবি ‘তোর্সা একটি নদীর নাম’ বানিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। সুদীপ মুখোপাধ্যায়, লামা ছাড়া ছবিতে জনপ্রিয় কোনও অভিনেতা নেই। আছেন কাব্য ভৌমিক, রুদ্রজ্যোতি ঘোষ, গীতশ্রী চক্রবর্তীর মতো আনকোরা শিশুশিল্পীরা। ছবিতে তাদেরই বন্ধুত্বের গল্প, যা ছুঁয়ে গিয়েছে অনুভূতিপ্রবণ যোগেন চৌধুরীকে। সেই আকর্ষণেই এই প্রথম তিনি নতুন ভূমিকায়, চিত্রকর থেকে ছবির নিবেদক।
নতুন ভূমিকায় এসে আরও ব্যস্ততা বেড়েছে। তবু ছবি নিয়ে প্রশ্ন শুনেই ফোনের ও পারে সাড়া দিলেন তিনি। আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, “সহজ গল্প আজও মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। পর্দায় সেই গল্প বললে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসে। এই ছবির গল্প বন্ধুত্বের কথা বলে। যেখানে রয়েছে একদল শিশু। আমি আর না করতে পারিনি।” তাঁর মনে হয়েছে, এই ধরনের ছবি আরও বেশি করে তৈরি হওয়া দরকার। এই ধরনের ছবির পাশে আরও বেশি করে থাকা দরকার। যদি তাতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়। ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্রও। তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বলে উঠলেন, “এ বছরের আর একটি ‘মানিকবাবুর মেঘ’ হতে চলেছে এই ছবি। মিলিয়ে নেবেন।”
আরও পড়ুন:
মাধুরী দীক্ষিতের এক সময়ের অন্ধ অনুরাগী ছিলেন চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেন। সেই আকর্ষণে তিনি নায়িকাকে নিয়ে বানিয়েছিলেন একটি ছবি। আগামী দিনে যোগেনও কি সেই পথে হাঁটবেন? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন চিত্রশিল্পী। বলেছেন, “এখনই অত দূর ভাবিনি। তবে আমার অনেক বন্ধু বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। আমি সব সময় তাঁদের পাশে।”