প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশে চালু জাতীয় পরিচয়পত্র বদল করে ১০ কোটি নাগরিকের জন্য তৈরি হচ্ছে মেশিন রিডেবল স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। আগামী ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
নির্বাচন কমিশনার এম শাহ নেওয়াজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় কার্ডপ্রাপ্তদের ১০ আঙুলের ছাপ এবং রঙিন ছবি-সহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মেশিন রিডেবল এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নকল না করার জন্য থাকছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান আরজু জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পর স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের দেওয়া হবে। পরে রাজধানী ঢাকার দু’টি সিটি করপোরেশন ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল কুড়িগ্রামে বিতরণের কাজ শুরু করা হবে। তারপর উপজেলা, পুরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। আট বছর আগে ৮ কোটি ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৯৮ নাগরিকের মধ্যে প্রথমবার জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি ওই পরিচয়পত্র নকল করতে শুরু করে। নতুন মেশিন রিডেবল স্মার্ট কার্ড এই ধরণের জালিয়াতি প্রতিরোধ করবে। স্মার্টকার্ডের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ২৫টি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের গুণমান নিশ্চিত করা হবে। স্মার্টকার্ডের মধ্যে থাকবে কার্ডধারী নাগরিকের সব তথ্য । কার্ডধারীরা ব্যাঙ্কিং, টিআইএন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্ট-সহ ২২ ধরনের পরিষেবা পাবেন। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড বিনামূল্যে দেওয়া হবে। কারও কার্ড হারিয়ে গেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে তিনি নতুন ভাবে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
১০ ডিজিটের এই স্মার্টকার্ডের প্রথম ৯টি ডিডিট আইডি নম্বর, আর শেষেরটা চেক সাম। ৯.৮ কোটি মানুষকে এই ইউনিক নম্বর দেওয়া যাবে। এতে কারও কোনও একটি ডিজিট পরিবর্তন হলেও অন্যের এনআইডি নম্বরের সঙ্গে মিলবে না। ফলে ভুল ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে এই অত্যাধুনিক পরিচয় পত্রে। স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য ৭৫টি দল ঢাকায় কাজ করবে। কার্ড বিতরণ, আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার কর্মী কাজ করবেন। নির্বাচন কমিশনের আশা, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিক এই পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।
এই স্মার্টকার্ড এর মেয়াদ হবে ১০ বছর। এই কার্ডের উপরে থাকবে ব্যক্তির নাম, বাবা-মা’র নাম, জন্ম তারিখ, কার্ড নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, ব্লাড গ্রুপ, উৎপাদন তারিখ, স্বাক্ষর ও ছবি। কার্ডধারী ব্যক্তির পরিচয়পত্রের ছবিটি হবে সাদা কালো।
আরও খবর...
নুর চৌধুরীকে কানাডা বহিষ্কার করেনি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy