র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
গুলশনে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের তথ্যকেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তের পর ধারণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী গুলশন হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নেতৃত্ব দিয়েছিল সারোয়ার জাহান ওরফে আবদুর রহমান। সারোয়ার জাহান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ নামে নব্য জেএমবি-র আমির ছিল। আবদুর রহমান নামেও পরিচিত সারোয়ার।
বেনজির আহমেদের আরও দাবি, গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার একটি বাড়িতে র্যাব-এর অভিযানে ‘আবদুর রহমান’ নামের যে জঙ্গি পাঁচতলা ভবন থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ আহত হয় সেই সারোয়ার জাহান। তিনি জানান, আশুলিয়ার জঙ্গি নিধন অভিযানে পাঁচতলা ভবন থেকে ‘লাফিয়ে পড়ে’ আহত হওয়ার পর আবদুর রহমানকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। সেখানে সে মারা যান।
ঢাকার কুটনৈতিক এলাকা গুলশনে গত ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশিবিদেশি-সহ ২০ জনকে হত্যা করে নব্য জেএমবি-র জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন
গুলশন হামলায় সন্দেহভাজন তাহমিদের জামিন
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “গুলশন হামলার সাত দিন পর ইদের দিন ঢাকার বাইরে শোলাকিয়ায় ইদগাহ ময়দানে পুলিশের ওপর হামলারও নেতৃত্ব দিয়েছিল এই সারোয়ার জাহান। এই দু’টি জঙ্গি হামলা-সহ তার নেতৃত্বে মোট ২২টি হামলা চালায় নব্য জেএমবি-র সদস্যরা।” হামলায় ৪০ জন মারা যান। হামলা শুরু হয় ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশনে সিজার তাবেলা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। তবে ২২টি হামলার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালান নব্য জেএমবি-র সদস্যরা। এ জন্য ২০১৫ সালের ৩০ অগস্ট চট্টগ্রামে মিরসরাইয়ে আওয়ামি লিগ নেতা ইমরানকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই করে তারা। এর পর ৪ সেপ্টেম্বর তারা চট্টগ্রামের বাংলাবাজারে দু’জনকে হত্যা করে। মূলত এই দু’টি অভিযান সফল ভাবে পরিচালিত হওয়ায় সারোয়ার জাহানকে নব্য জেএমবি-র সদস্যরা শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন।
তিনি জানান, আওয়ামি লিগ নেতা ইমরানকে গুলি করে টাকা ছিনতাই ও আরও দু’টি খুনের পর সারোয়ার জাহানের নির্দেশে নব্য জেএমবি-র সদস্যরা বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিক ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামলার পরিকল্পনা করা হন। এ ছাড়া গুলশন, বনানী, বারিধারায় বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের ওপর আক্রমণ, হোসনি দালান, মহম্মদপুরে শিয়া মসজিদ, মিরপুরে ইমামবাড়াতে আক্রমণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও ‘নাস্তিক ব্লগার’দের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy