ঢাকার গুলশনের হোলি আর্টিজান বেকারি ও শোলাকিয়ায় ইদের নমাজে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও অর্থ, দু’টিই বিদেশ থেকে এসেছে বলে পুলিশ জানাল। বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। জঙ্গি দমন অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্যের কথা মনিরুল সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কারা কোথা থেকে অস্ত্র এনেছে, সে কথাও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মনিরুলের দাবি, অর্থ এসেছে হুন্ডির মাধ্যমে। সেই অর্থ যে গ্রহণ করেছে তার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক দফায় মোট ১৪ লাখ টাকা জেএমবি জঙ্গিদের হাতে আসার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘একটি সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, প্রায় ১৪ লাখ টাকা এসেছে একটি হুন্ডির মাধ্যমে। সেটি সংগ্রহ করে তারা অস্ত্র, বাড়িভাড়া ইত্যাদি কাজে লাগিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।’’
তবে, কোন দেশ থেকে সেই অর্থ এসেছে জানতে চাইলে পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। যদিও কোন দেশ থেকে অর্থ এসেছে সেটি আমরা খুঁজে পেয়েছি। কারা পাঠিয়েছে তা তদন্তসাপেক্ষ। যে সব দেশ হুন্ডির হাব হিসেবে পরিচিত, তেমনই একটি দেশ থেকে এসেছে।’’
মনিরুল ইসলাম আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘গুলশনের হামলাকারীদের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এদের নেতৃত্বের বড় একটা অংশ পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময়ে পাল্টা আক্রমণ করতে গেলে নিহত হয়েছে।’’ যে কয়েক জনের বিষয়ে পুলিশ জানতে পেরেছিল, তাদের দু’জন গুলশন হামলার আগে থেকেই ভারতে পালিয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান।
ছবি সংগৃহীত
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসব এর নতুন ঠিকানা: আনন্দ উৎসব
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy