গুলশনে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মাস্টারমাইণ্ড তামিম চৌধুরী এবং কো-অর্ডিনেটর নুরুল ইসলাম মারজানকে সনাক্ত করা হয়েছিল আগেই। এ বার চিহ্নিত করা হল এ হামলার বোমা প্রস্তুতকারককেও। পুলিশ জানিয়েছে, বোমা করিগরের নাম সোহেল মাহফুজ। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) থেকে নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়েছে। পুলিশ এখন তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় জাল ফেলে অপেক্ষায় আছে। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরী ও যোগাযোগ সমন্বয়ক তাওসিফ হোসেন নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। হামলার অপারেশনাল কমান্ডার ছিল নুরুল ইসলাম মারজান। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জোনায়েদ খান, খালেদ ও মানিক। এ ছাড়া নব্য জেএমবি নেতা রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী গুলশনে হামলা চালানোর জন্য দুজনকে নিয়োগ করে তামিম চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিল। তাদের ধরতেও অভিযান চলছে।’’
গত ১ জুলাই রাতে ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা গুলশনের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসবাদীরা। দেশি-বিদেশি নাগরিকদের পণবন্দি করা হয়। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলি ও বোমা হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হন। তবে তার আগেই জাপানি, ইতালি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান-সহ ১৮ বিদেশি নাগরিককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। খুন করা হয় দুই বাংলাদেশি নীগরিককেও। ছয় জঙ্গি-সহ মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয় গোটা ঘটনায়। জঙ্গিরা অধিকাংশ খুনই করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে। ৩২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন...
তামিমকাণ্ডে খালেদা জিয়ার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy