Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

সংখ্যালঘু গ্রামে হানা চক্রান্তই, ধৃত চক্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মূল চক্রান্তকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার রাতে ধৃত জাহাঙ্গির আলম (৩০) একটি সাইবার কাফের মালিক এবং বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২০
Share: Save:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মূল চক্রান্তকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার রাতে ধৃত জাহাঙ্গির আলম (৩০) একটি সাইবার কাফের মালিক এবং বিরোধী দল বিএনপির স্থানীয় কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নাসিরনগরে হামলার পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশের সর্বত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রশাসনের অভিযোগ, বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যম বিষয়টি রং চড়িয়ে প্রচার করায় দেশের অন্যত্রও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। শেখ হাসিনার সরকার বরাবরই বলে আসছিল, নাসিরনগরের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। সাইবার কাফের মালিককে গ্রেফতারের পর সেই চক্রান্তের তত্ত্বই উঠে আসছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মৎসজীবী রসরাজ দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে জাহাঙ্গির ধর্মস্থানের পক্ষে অবমাননাকর একটি ছবি পোস্ট করে। সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য চক্রান্ত করে এটা করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। এ ঘটনার জেরে ৩০ অক্টোবর সংখ্যালঘু-প্রধান নাসিরনগর গ্রামে ব্যাপক হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। সংখ্যালঘুদের শ’খানেক ঘরবাড়ি ও দু’টি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়।

গ্রেফতারের পর নিরক্ষর মৎস্যজীবী রসরাজ জানান, তিনি এ ছবি পোস্ট করেননি। পোস্টটি যখন হয়েছে, তিনি তখন বিলে মাছ ধরছিলেন। তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আল আমিন সাইবার কাফের মালিক জাহাঙ্গিরকে গ্রেফতার করা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

arrest conspiracy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE