‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল’ এবং ‘বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল’-এর বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা
এই উৎসবের মরসুমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এবং বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল একত্রে দুর্গাপুজোর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। তার সঙ্গে ‘দুর্গোৎসব: লাইফ, কালচার অ্যান্ড লাইভলিহুড’ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের দরবার হলে ৪ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনীটি দর্শকদের জন্য খোলা ছিল। দুর্গাপুজোর সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক এবং আর্থ-সামাজিক প্রভাবের উপর ভিত্তি করে একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এই প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল এর প্রধান পরামর্শদাতা এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সহ-অধ্যক্ষ মানোশী রায় চৌধুরী। বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ‘নান্দিশ’-এর ডিরেক্টর, দোলা মল্লিক এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের শিক্ষা ইউনিটের অশ্বিনী ভারত বর্মা এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এ ছাড়াও আরও অনেক সম্মানিত ব্যক্তিরা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেমন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ট্রাস্টি পণ্ডিত আমিতাভ মুখোপাধ্যায়, অনিতা চক্রবর্তী, সচিব এবং অধ্যক্ষ সমরেন্দ্র কুমার, প্রাক্তন সাংসদ ও পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বপন দাসগুপ্ত, বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সভাপতি, বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক, বন্ধন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস চন্দ্র শেখর ঘোষ প্রমুখ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে দর্শকদের বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ভান্ডারের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য চন্দ্র শেখর ঘোষ এবং স্বপন দাশগুপ্ত ‘অবজেক্ট অফ দ্য মান্থ’-এর উন্মোচন করেন।
প্রথম অবজেক্ট
(ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সংগ্রহ থেকে)
১৯৬০ সালে শিল্পী ভুতনাথ পাল একটি বৃত্তাকার আকৃতির মধ্যে একটি জলরঙের চিত্র আঁকেন, যা সোরা চিত্রকলার কথা মনে করিয়ে দেয়। এই চিত্রকলার বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি ভারতীয় শিল্পশৈলীকে তুলে ধরে।
দ্বিতীয় অবজেক্ট
প্রখ্যাত শিল্পী যামিনী রায়ের ১৮.৪ x ১১.৭ সেমির একটি কলম এবং কালি। তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একজন বিশিষ্ট শিষ্য ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি কালীঘাটের চিত্রকর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন এবং তার কৌশল ও বিষয়বস্তু ঐতিহ্যগত শিল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। প্রদর্শিত শিল্পকর্মটি পটুয়া শৈলীর চিত্রকর্ম।
নতুনগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শৈলীতে দুর্গার ভাস্কর্য এবং দুর্গাপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত ইতিহাস, সাংস্কৃতিক দিক এবং জীবিকা নিয়ে একটি প্যানেল প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছিল।
• বাঙালি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনগুলিকে সম্মান জানানোর জন্য বিজ়নেস কাউন্সিলের নিউজলেটার ‘আলোড়ন’ শুরু করা হয়।
• সঞ্জীব সরকারের নেতৃত্বে বাংলার সৌহার্দ্য গ্রুপের দ্বারা দুর্গাপুজোয় ঢাকের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য প্রদর্শন করার জন্য একটি ঢাক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
• স্বপন রায়ের নেতৃত্বে জ়েড৪ ড্যানসিং নেটওয়ার্কের সহযোগিতায়ে আগমনী নৃত্য পরিবেশন করা হয় যা গান ও গল্পের মাধ্যমে দেবী দুর্গার পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করেছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ট্রাস্টি পন্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের পক্ষ থেকে, আমি সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই। এই প্রদর্শনীটি সত্যিই একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে এবং আমি মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন সমস্ত অন্ধকার দূর করেন এবং আলোয় ভরা একটি নতুন সূচনা করেন।”
ট্রাস্টি অনিতা চক্রবর্তী বলেন, “ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল একটি হেরিটেজ মিউজিয়াম এবং বাংলার দুর্গাপুজোও ইউনেস্কো কর্তৃক মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সহযোগিতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের এই অনন্য উদ্যোগ আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।”
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy