বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের ঝড়। নিন্দা, সমালোচনা এমনকী রায় বদলানোর আবেদনও। কিন্তু সে সবে কান দিলেন না মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতাহ অল-সিসি। মঙ্গলবার জানালেন, বিচার বিভাগের কাজেই বাধা দেবেন না তিনি। অর্থাৎ সাজাপ্রাপ্ত তিন সাংবাদিকের মুক্তি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন রইলই।
একাংশের আশা ছিল, আমেরিকা ময়দানে নামলেই হয়তো সুর নরম করবে মিশর। মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি গত কালই রায়ের কড়া নিন্দা করেছিলেন। কড়া বিবৃতি দেওয়া হয় হোয়াইট হাউস থেকেও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। সিসি জানিয়ে দেন, যত ক্ষণ না বিচারের অন্তিম প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, তত ক্ষণ তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। এর পর উচ্চতর আদালতে আবেদন করা ছাড়া আর কোনও উপায় রইল না সাজাপ্রাপ্তদের কাছে। হিসেব মতো অক্টোবরের আগে সে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার উপায় নেই।
এটাই হতে দিতে চাইছে না পশ্চিমী দুনিয়া। গত কালের কড়া সুর টেনেই এ দিন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেন, “মিশরের বিদেশমন্ত্রী সামেহ শৌকরি এখন দেশে নেই। ফলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু কথা হলেই এই রায়ের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষোভ নিশ্চয়ই জানাব।” প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট যে ইতিমধ্যেই সিসির সঙ্গে কথা বলেছেন, সে কথাও জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান রবি পিল্লায় বলেন, “আমার মতে এই বিচার প্রক্রিয়াটাই প্রহসন ছিল।”
এর পরও সিসি কী করে এতটা নির্বিকার, তার একটা ব্যাখ্যা অবশ্য মিলেছে। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের ধারণা, মিশরের বেশিরভাগ মানুষের কাছেই মুসলিম ব্রাদারহুড এখন জঙ্গি সংগঠন। সুতরাং তাদের সাহায্য করার অভিযোগ ইতিমধ্যেই ওই তিন সাংবাদিককে খলনায়ক করে দিয়েছে জনমানসে। যেমন স্থানীয় চ্যানেলের উপস্থাপিকা ইব্রাহিম আইসা। এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট বলেই ফেললেন, “ওঁরা সাংবাদিক নন।...প্রত্যেকে ব্রাদারহুডের সদস্য।”
এই মনোভাবই এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মিশরে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ওই তিন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিলে সিসির ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। আর বাইরের দুনিয়ায় কোণঠাসা মিশর-প্রেসিডেন্ট এ পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই দেশবাসীকে চটাতে চান না।
পাক বিমানে গুলি, নিহত এক যাত্রী
সংবাদ সংস্থা • পেশওয়ার
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের যাত্রিবিমানে গুলিতে এক জন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং পি কে ৭৫৬ সৌদি আরবের রিয়াধ থেকে পেশওয়ার আসছিল। কারা চালাল গুলি? এ কি কোনও জঙ্গি হানা? যাত্রীদের মধ্যেই কি লুকিয়েছিল জঙ্গি? মাঝআকাশেই কি তারা গুলি চালায়? এমন নানা প্রশ্নের মুখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিমানের বাইরে থেকেই গুলি এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অনুমান, বিমানবন্দর সংলগ্ন কোনও বাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়ে থাকতে পারে। অথবা আকাশপথে কোনও গুলির লড়াইয়ের মধ্যে বিমানটি দৈবাৎ এসে পড়ে থাকতে পারে। করাচি বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার পর পরই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চলতি মাসের ৮ তারিখেই করাচির পুরনো বিমানবন্দরে জঙ্গিরা ছদ্মবেশে ঢুকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। ১০ জঙ্গি-সহ ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আজ আবার পাক বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy