Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

অলিম্পিক নিরাপত্তায় মোতায়েন কসাক সেনা

শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য জর্জিয়া-রাশিয়া সীমান্তের সোচিতে আয়োজন এখন তুঙ্গে। আর নিরাপত্তা রক্ষার জন্য শহরে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ফারের টুপি ও জ্যাকেট পরা কসাক সেনাদের। কসাক উপজাতির সংস্কৃতি ও গর্ব পুনরুদ্ধারের পথে এ আর এক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ ১৫:৩১
Share: Save:

শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য জর্জিয়া-রাশিয়া সীমান্তের সোচিতে আয়োজন এখন তুঙ্গে। আর নিরাপত্তা রক্ষার জন্য শহরে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ফারের টুপি ও জ্যাকেট পরা কসাক সেনাদের। কসাক উপজাতির সংস্কৃতি ও গর্ব পুনরুদ্ধারের পথে এ আর এক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

বরাবরই যুদ্ধে পটু বলে পরিচিত কসাক উপজাতি। রাশিয়ার উত্থান-পতনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাদের ইতিহাস। এক সময়ে রাশিয়ার জারেদের পক্ষে বহু আঞ্চলিক বিদ্রোহ দমন করেছিল কসাক বাহিনী। মধ্য এশিয়ায় রুশ ও ব্রিটিশ প্রাধান্যের লড়াই, যা ‘গ্রেট গেম’ হিসেবেই পরিচিত, তাতেও বড় ধরনের ভূমিকা নিয়েছিল কসাক বাহিনী।

কিন্তু কসাকদের কখনওই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি জারতন্ত্র। তা-ই তাদের বিদ্রোহও কঠোর হাতে দমন করতে হয়েছিল রুশ সাম্রাজ্যের পরিচালকদের।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বলশেভিকদের উত্থানের সময়ে জারেদের পক্ষ নিয়েছিল কসাকরা। ফলে, রাশিয়ায় কমিউনিস্ট রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পরে কসাকদের গণহত্যার আদেশ দিয়েছিল মস্কো।

কমিউনিস্ট-পরবর্তী জমানায় কসাক সংস্কৃতি ও গর্বের পুনরুত্থান শুরু হয়েছে রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক অঙ্গরাজ্যগুলিতে।

শীতকালীন অলিম্পিকে নিরাপত্তা বাড়াতে কসাক সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল রুশ সরকার। সম্প্রতি রাশিয়ায় একাধিক জঙ্গি হামলার পরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকী, প্রয়োজনে দ্রুত রাশিয়া থেকে সব মার্কিন নাগরিককে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছে আমেরিকা। তা-ই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না রাশিয়া।

সোচি শহরটি রাশিয়ার ককেশাস এলাকার ক্রাসনোডারে। গত বছরেই মূলত মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে প্রায় ১ হাজার কসাক সেনাকে নিয়োগ করেছিলেন ক্রাসনোডারের গভর্নর আলেকজান্ডার কাচেভ। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “যা আপনি পারেন না, এক জন কসাক পারেন।”

তবে কসাকদের ফের উত্থান বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। সম্প্রতি কসাক গর্বের পুনরুত্থানের জন্য মস্কোর কাছে আরও ক্ষমতা ও জমি চেয়েছেন উপজাতির নেতারা। মধ্য এশিয়া বিশেষজ্ঞ ভ্যালেরি জুৎসেভের মতে, কসাকদের উত্থান তাদের সঙ্গে উত্তর ককেশাস এলাকার আদি বাসিন্দাদের সংঘাত বাধাতে পারে। লিও তলস্তয়, আলেকজান্ডার পুশকিনের মতো লেখকদের রচনায় অমর হয়ে আছে কসাক বাহিনী। কিন্তু, তাদের পুনরুত্থান নিয়ে সতর্কতারও প্রয়োজন আছে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অনেকেই।

অন্য বিষয়গুলি:

russia olympic kasak
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE