৫২ বছরের জেভিয়ার যে উপন্যাস লেখিকার প্রেমে পড়েছেন তাঁর নাম সিলভিয়া কাবোলোল। বার্সালোনার বাসিন্দা সিলভিয়ার বয়স ৩৮। প্রতীকী ছবি।
স্পেনের এক গির্জার বিশপ হঠাৎই তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। পদমর্যাদায় তিনি ছিলেন বেশ উঁচুতেই। এমনকি স্পেনের সলসনা নামে একটি ডিস্ট্রিক্টের শাসনভারও ছিল তাঁর হাতে। বিশপ অবশ্য সেই সব দায়িত্ব হেলায় ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চেয়েছেন। ইস্তফাপত্রে জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত তিনি নিচ্ছেন ‘ব্যক্তিগত’ কারণে। যদিও ব্যক্তিগত বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে দেরি হয়নি। জানা গিয়েছে, গির্জার ওই বিশপ এক যৌনদ্দীপক ঔপন্যাসিকের প্রেমে পড়েছেন। তাঁর প্রেমিকা পেশাগত ভাবেই যৌন উত্তেজনাপূর্ণ প্রেমের উপন্যাস লেখেন। তাঁকে বিয়ে করবেন বলেই কি বিশপের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত? এতে কি নৈতিকতার স্খলন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশপ! প্রশ্ন উঠেছিল। বিশপ অবশ্য জানিয়েছেন, যা করছেন তা ঈশ্বরের নির্দেশেই।
স্পেনের ওই বিশপের নাম জেভিয়ার নভেল। তিনি ১১ বছর আগে ৪১ বছর বয়সে স্পেনের কনিষ্ঠতম বিশপ হিসেবে গির্জায় যোগ দিয়েছিলেন। এখন বয়স ৫২। যে উপন্যাস লেখিকার প্রেমে তিনি পড়েছেন তাঁর নাম সিলভিয়া কাবোলোল। বার্সালোনার বাসিন্দা সিলভিয়ার বয়স ৩৮।
গির্জার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে জেভিয়ারের সরে দাঁড়ানোর এই খবর জানাজানি হতেই স্পেনের একটি সংবাদপত্র জেভিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে ওই সংবাদমাধ্যমকে বিশপ বলেছেন, ‘‘আমি এক মহিলাকে ভালবেসেছি। আর আমি সম্পর্কটিকে ভাল ভাবে পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’’
তবে জেভিয়ারের এই ইচ্ছের কথা জেনে অবাকই হয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের মতে, বার্সালোনার ওই ঔপ্যন্যাসিক যে ধরনের লেখালিখি করেন বা তাঁর দৈনন্দিন সাংস্কৃতিক চর্চা যে রকম তা গির্জার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। বা বলা ভাল তা গির্জার শিক্ষার একেবারে উল্টো পথে চলে। সম্প্রতি সিলভিয়া তাঁর একটি উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। যার নাম ‘দ্য হেল অফ গ্যব্রিয়েলস লাস্ট’। গ্যাব্রিয়েল খ্রিস্টান পুরানে ‘ডেভিল’ বা শয়তানের প্রতিনিধি। বইটিতে সিলভিয়া নাকি যৌন প্রেমের সঙ্গে শয়তানের অভিসন্ধিকেও মিশিয়েছেন।
জেভিয়ার অবশ্য ইতিমধ্যেই পোপের কাছ থেকে এই বিয়ের অনুমতি চেয়ে আর্জি করেছেন। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি এতদিন যে কাজ করছি তা অত্যন্ত পবিত্র। তবে আমার মনে হয় ঈশ্বরই চান আমি আরও বড় সংসারের সঙ্গে যুক্ত হই।’’ যদিও বিশপের অনুরাগীরা বলছেন, ‘‘সব জেনেও যদি পোপ জেভিয়ারকে বিয়ের অনুমতি দেন তবে কারও কিছু বলার থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy