Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
China

China: ‘মাতৃভূমি’কে এক ছাতার তলায় আনতে ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে’ তাইওয়ানকে চিনে জুড়তে চান চিনফিং

গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ানকে প্রথম থেকেই নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অঙ্গ বলে দাবি করে আসছে চিন।

ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৪৪
Share: Save:

গত সপ্তাহেই চার দিন ধরে তাইওয়ানের আকাশে প্রায় শ’দেড়েক বিমান নিয়ে মহড়া করেছে চিন। এ বারে চিনের সঙ্গে সে দেশের ভূখণ্ডের ‘পুনর্মিলনের’ প্রক্রিয়া ‘শান্তিপূর্ণ’ ভাবে সম্পূর্ণ করার কথা বলে ফের শিরোনামে উঠে এলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।
গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ানকে প্রথম থেকেই নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অঙ্গ বলে দাবি করে আসছে চিন। যা চরিতার্থ করতে লাগাতার সে দেশের উপর রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে তারা। এমনকি, বেজিংয়ে দাঁড়িয়ে ২০১৯ সালে সরাসরি শক্তির জোরে তাইওয়ানের ক্ষমতা দখলের হুমকিও দেন চিনফিং। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই-এর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বাধীনতা চিনের হাতে তুলে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের মানুষ। অন্য কেউ নয়।
যদিও হাল ছাড়েনি চিন। বিভিন্ন দিক থেকে বাড়িয়ে গিয়েছে চাপ। সেই রীতি মেনেই গত ১ অক্টোবর থেকে তাইওয়ানের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে হানা দেয় চিনা বাহিনীর বিমান। যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বেজিং। যার পর এ দিন তাইওয়ান প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুললেন চিনফিং। দখল নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত না-দিলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে খানিকটা সুর নরম করতে দেখা গেল তাঁকে। তিনি জানান, এ বিষয়ে ‘শান্তিপূর্ণ’ পদ্ধতি অবলম্বন করার দিকেই জোর দেবেন তাঁরা।

বেজিংয়ের ‘গ্রেট হল’-এ চিনে সাম্রাজ্যবাদ শাসন অবসানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের চিনফিংয়ের বক্তৃতায় যদিও এ দিন তাইওয়ানে বিমান হানার কোনও উল্লেখই ছিল না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা চিনের ঐতিহ্যে শামিল। তাইওয়ানের স্বাধীন সরকার গঠন আদতে বিচ্ছিন্নবাদেরই অংশ যা চিনের মাতৃভূমিকে বিভক্ত করেছে এবং তার পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ সঙ্গে হাল্কা সুরে হুমকিও দিতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘‘চিনের মানুষের কঠোর সংকল্প এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষমতাকে কেউ যেন হাল্কা ভাবে না নেয়। বিভাজন মিটিয়ে মাতৃভূমিকে এক ছাতার তলায় আনার কাজ
শেষ করতে হবে এবং অবশ্যই তা শেষ করা হবে।’’ চিনফিংয়ের বক্তৃতার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এক অনুষ্ঠানে অঞ্চল দখলকে কেন্দ্র করে চিনের ‘চোখ রাঙানি’ নিয়ে মুখ খোলে তাইওয়ান সরকার। আগামী কাল অর্থাৎ ১০ অক্টোবর জাতীয় দিবস পালন করে তাইওয়ান। সেই অনুষ্ঠানে চিনফিংয়ের জবাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন কী বলেন এখন সে দিকেই নজর সকলের।

অন্য বিষয়গুলি:

China Xi Jinping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy