প্রতীকী চিত্র
ধর্ষণ করায় শাস্তি হয়েছিল ৫১ মাস। শাস্তি কমানোর আবেদন করেন ওই যুবক। সেই আবেদন মেনে নিলেন এক মহিলা বিচারপতি। সাজা ৫১ মাস থেকে কমে হয়েছে ৩৬ মাস। কারণ হিসাবে বিচারপতি জানিয়েছেন, মাত্র ১১ মিনিটে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত। তাই তাঁর সাজা কমানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
ঘটনাটি ঘটেছে সুইৎজারল্যান্ডের বাসেলে। গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে নিজের ফ্ল্যাটে ৩৩ বছরের এক ষুবতী ধর্ষিতা হন। তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ ও ৩২ বছর বয়সী দুই পর্তুগিজ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। নাবালক হওয়ায় ১৭ বছরের কিশোরের কোনও শাস্তি হয়নি। কিন্তু ৩২ বছরের যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়।
বাসেল হাই কোর্টের মহিলা বিচারপতি শুনানির সময় বলেন, ‘‘ধর্ষিতা যুবতী ধর্ষকদের ‘ইশারা’ করেছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরও ভূমিকা ছিল। তাই শুধু এক জনকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল মাত্র ১১ মিনিটে। ফলে ধর্ষকের শাস্তি কমিয়ে ৩৬ মাস করা হল।’’ ইতিমধ্যেই অনেকটা সাজা খেটে ফেলেছেন তিনি। তাই কয়েক মাসের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন ওই যুবক।
এই রায়ের পরেই বাসেল জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন হাজার হাজার নাগরিক। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই রায় বদল করা হোক। এক জন মহিলা হয়ে কী ভাবে এই রায় দিলেন বিচারপতি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy