—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জেলে কারা জেএমবি জঙ্গি তারিকুল ওরফে সুমনকে টাকা দিয়েছিল তা জানতে এ বার তার স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সূত্রের খবর, নগদের পাশাপাশি ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়েছে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। যার পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। সেই টাকার উৎস জানতে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের বারহাবড়াতে তারিকুলের শ্বশুরবাড়ি। ২০১৪-এ খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আগে জেএমবির দম্পতি মডিউল মেনে শিমুলিয়ার মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে বিয়ে করে সে। যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বারহাবড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে। ওই অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সেটাই দেখতে চান তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, তারিকুল জেরার মুখে দাবি করেছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ও বাংলাদেশে ফেরার জন্য সে ওই টাকা তুলেছিল নানা জনের থেকে। যা সত্যি বলে মানতে নারাজ গোয়েন্দারা। তাই বহরমপুর জেলে তারিকুলের সঙ্গে বন্দি থাকা কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও চাইছেন তাঁরা।
এক তদন্তকারী জানান, তারিকুল নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি কাটাতেই জেলে কাদের সঙ্গে সে দেখা করেছে, কাদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে এবং জেলের ভিতরে তার কার্যকলাপ কী ছিল তা জানতে ওই বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ওই জেলে তারিকুলের সঙ্গে থাকা এবং জেল থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, দাবি সূত্রের।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এক সময় ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ পাকুড় এলাকায় জেএমবি সদস্য হিসেবে সংগঠন বিস্তার করেছিল তারিকুল । সেখানে সে ওই সময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেই ঝাড়খণ্ডের সূত্র কাজে লাগিয়ে ফের নতুন করে সংগঠন বিস্তারে সে মনোযোগী হয়েছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তারিকুলের ঝাড়খণ্ড যোগ এবং বাংলা-ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা স্লিপার সেল সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
এসটিএফ জানিয়েছে, অসম পুলিশের হাতে ধৃত মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলির নিয়মিত যাতায়াত ছিল বহরমপুর জেলে। সেখানে সংগঠনের বিস্তারের জন্য অসমের নুর ইসলাম মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিল তারিকুল। তারপর থেকে এ রাজ্যে নতুন করে সংগঠন বিস্তারের জন্য খারিজি মাদ্রাসা খোলা থেকে শুরু করে যুবকদের জেহাদির পাঠ দেওয়া সব কিছুই করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, তারিকুল সব কিছু অস্বীকার করছে। তাই তাকে মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলি এবং শাব রাডির মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। বর্তমানে অসমের জেলে রয়েছে ওই তিনজন। সূত্রের দাবি, ওই তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে এসটিএফ। তাই আগামী সপ্তাহে তাদের জন্য আদালতে আবেদন করার কথা রয়েছে এসটিএফের। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এদের ও শাব রাডির ভাই সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে মুর্শিদাবাদের দশ জনের নাম এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy