মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল ‘গ্রিভান্স ও রিড্রেসাল’ কমিটি। ‘চিকিৎসার অপর নাম সেবা’—আলোচনাসভার ওই নামও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঠিক করে দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ কেন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
২ জানুয়ারি থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভার একেবারে বুথস্তরে ‘দুয়ারে-স্বাস্থ্য’ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প চালাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩০ নভেম্বর প্রায় ১২০০ চিকিৎসককে নিয়ে সম্মেলন করে ওই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, নিছকই কি প্রকল্পের সূচনা ঘোষণা করে চিকিৎসক সম্মেলন? নাকি আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দল ও সরকারের সঙ্গে চিকিৎসকদের বড় অংশের দূরত্ব ঘোচাতে আসরে নামলেন অভিষেক?
এমন জল্পনাও উঠেছিল, ওই চিকিৎসক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে অভিষেক চিকিৎসা-প্রশাসনে সমান্তরাল নিয়ন্ত্রণের বার্তাও দিয়ে রাখলেন। আগামী দিনে শহরের বড় কোনও সভাগৃহে অন্তত পাঁচ হাজার চিকিৎসককে নিয়ে সম্মেলনের পরিকল্পনার কথাও ওই দিন জানিয়েছিলেন অভিষেক।
‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প চলবে ৭৫ দিন ধরে। এর মধ্যেই রাজ্যের ‘গ্রিভান্স ও রিড্রেসাল কমিটি’ আয়োজিত চিকিৎসক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দিনে বিপুল লোক এসেছে অভিষেকের স্বাস্থ্য শিবিরে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায় সরকারি পরিকাঠামো পর্যাপ্ত আছে কি? এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা যে তাঁর নিয়ন্ত্রণে এবং সরকারি পরিকাঠামোতেই সব রকমের চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব— সেটা স্পষ্ট করতেই কি এই পাল্টা সম্মেলন? অভিষেক বলেছিলেন, মানুষের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। প্রশ্ন উঠেছে, তেমন কোনও আলোচনার পরেই কি তবে এই সম্মেলন ডাকা হল?
‘গ্রিভান্স ও রিড্রেসাল কমিটি’-র চেয়ারম্যান, চিকিৎসক সৌরভ দত্ত বলেন, ‘‘কোনও কিছুর পাল্টা এই আয়োজন, এমন কথা বলা ঠিক নয়। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সম্মেলনের প্রস্তাব রেখেছিলাম। তিনি সম্মতি দিয়েছেন।’’ সৌরভের আরও দাবি, ‘‘রাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করতেই পারেন।’’ সূত্রের খবর, সভায় উপস্থিত থাকতে জন্য রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, শিক্ষক-চিকিৎসক-সহ চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সব যুক্তকে ডাকা হবে। তা হলে কি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে? সৌরভ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট ভাবে কোনও সংগঠনকে নয়, সমস্ত আমন্ত্রণই হাসপাতালে গিয়ে করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy