পরীমণি এবং তসলিমা নাসরিন।
পরীমণি এবং বাংলাদেশের গুলশন বিভাগের এডিসি মহম্মদ গোলাম শাকলায়েন শিথিলের ঘনিষ্ঠতা লোকমুখে ফিরছে। বাংলাদেশের নায়িকার সঙ্গে ‘অপেশাদার আচরণ’-এর জন্য তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নিজের সামাজিক পাতায় এ বার তোপ দাগলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর ক্ষোভ, ‘পুলিশের এক কর্মকর্তা এক সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পড়েছেন বলে অফিশিয়ালি শাস্তি পাচ্ছেন। প্রেমের চেয়ে ভয়াবহ অপরাধ এখন আর কিছু নেই বাংলাদেশে।'
প্রেম, যৌনতা নিয়ে তসলিমা আজীবন স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরীমণির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তাঁর আরও দাবি, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যৌনতার মতো 'নিকৃষ্ট' জিনিসও আর কিছু নেই। তালিবানি রাজত্বের জন্য দেশটা অনেকদিন ধরেই একটু একটু করে তৈরি হচ্ছিল। এখন শুধু বাকি আছে সব মেয়ের গায়ে বাধ্যতামূলক বোরখা চড়ানো। আর প্রেম-ভালোবাসার কোনও গন্ধ পেলে মেয়ে্টিকে মাটিতে অর্ধেক পুঁতে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা।’
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, গত জুন মাসে ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিন মাহমুদ এবং তাঁর বন্ধু সিদ্দিকি আমিরের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরীমণি। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন গোলাম শাকলায়েন। তদন্ত চলাকালীনই পরীমণির সঙ্গে ‘সখ্য’ গড়ে ওঠে তাঁর। সেই কারণেই প্রায় ১৮ ঘণ্টা এক সঙ্গে সময় কাটান তাঁরা।
এখানেও তসলিমা প্রতিবাদী। তাঁর মতে, বাংলাদেশ চালায় মিডিয়া। মিডিয়া যদি বলে এই মেয়েটা খারাপ, তা হলে লক্ষ কোটি বুদ্ধিহীন দু'পেয়ে জীবের কাছে সে খারাপ। মিডিয়া যদি বলে ওই পুরুষটা ভাল, তা হলে সকলের কাছেই সে ভাল। যদিও তাঁর এই মত সমর্থন করেননি বহু অনুরাগী। তাঁদের যুক্তি, দায়িত্ব পালনের সময় প্রশাসন আর অভিযুক্তের ‘প্রেম’ নিছকই 'লেনদেন'। তাঁদের চোখে, শাকলায়েন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে ভোগের নেশায় মেতেছেন। এতে সুবিচার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনৈক নেটাগরিক সরাসরি আঙুল তুলেছেন তসলিমার দিকেই। তাঁর অভিযোগ, ‘আপনি প্রকৃত বিষয় জেনেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে লেখাটি লিখেছেন।'
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy