প্রতীকী চিত্র।
ধীরে-সুস্থে হাঁটাচলা করা শান্ত-সুন্দর দেখতে সিল যে এমন রেগে যাবে বুঝতেই পারেনি দুই মাদক পাচারকারী। আর সেই রাগী সিলের জন্যই ধরা পড়ে গেল বড় একটি মাদক পাচার চক্র। কারণ হয় একটি রাগী সিলের খপ্পরে পড়তে হত অথবা পুলিশের হাতে, এই পরিস্থিতিতে মাদক পাচারকারীরা আইনের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচায়। আর সেই সূত্রে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বড় একটি মাদক পাচার চক্রের হদিস পায়। সঙ্গে উদ্ধার হয় কয়েক টনের নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য।বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাটি ৩ সেপ্টেম্বরের। ওই দিন একটি ইয়টে করে মাদক পাচার হচ্ছিল। মাদক নিয়ে যাচ্ছিল এক ব্রিটিশ এবং এক ফরাসি নাগরিক। কিন্তু পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে একটি দ্বীপের কাছে ডুবে থাকা পাথরে ধাক্কা মারে ইয়টটি। আর এগোতে পারে না সেটি। বাধ্য হয়ে ইয়ট থেকে একটি ছোট ডিঙ্গি নামিয়ে সব মাদক সামনের দ্বীপটিতে নিয়ে যান তাঁরা। লুকিয়ে ফেলে সেখানে। হয়তো অপেক্ষা করছিলেন সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার।
এই পর্যন্ত মোটের উপর সবই ঠিক ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এক উদ্ধারকারী সংস্থার নজরে আসে, সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি ইয়ট। খবর যায় পুলিশের কাছেও। উদ্ধারকারীদলের সদস্যরা সামনের দ্বীপে পৌঁছে বুঝতে পারেন, দ্বীপে অনাহুত অতিথিরা সাধারণ নাগরিক নন, এঁরা মাদক পাচারকারী। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ততক্ষণেপ্রচুর মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। তার মধ্যে ছিল কয়েক টন কোকেন, এক্সট্যাসি, মেথামফেটামাইন।
আরও পড়ুন : খাড়াই পাহাড়ের গায়ে ‘উড়ে বেড়াচ্ছে’ ভেড়ার দল
মাদক পেয়ে পুলিশ ভাবে নিশ্চয়ই এর মালিকরাও এখানেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিক গ্রাহাম পলমার (৩৪) ও ফরাসি নাগরিক অ্যান্টেনিও ডিসেন্টা (৫১) তখন এমন একটি জায়গায় লুকিয়ে ছিল, যেখানে পালানোর দুটি মাত্র পথ। একদিকে ছিল একটি বিশাল সিল ও অন্যদিকে তখন পুলিশ।
আরও পড়ুন : ভারতীয় ‘মহাকাশচারী’-র অনুমতি নিয়ে ‘চাঁদে’ পা রাখল মেক্সিকো
গ্রাহাম ও অ্যান্টেনিও চেষ্টা করেছিল, পুলিশের হাতে না পড়ে সিলটিকে ডিঙ্গিয়ে পালাতে। কিন্তু ওই বিশালবপুর সিলটি গ্রাহাম ও অ্যান্টেনিওর উপর ভীষণ বিরক্ত হয়ে ছিল। ফলে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে সিলটি তাদের আক্রমণ করতে পারে। আর তাতে তাঁরামারাও যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচিয়ে তাঁরা পুলিশের হাতে ধরা দেওয়াই বেশি নিরাপদ মনে করেন।
আরও পড়ুন : পা হড়কে পাহাড় থেকে জলে, দৃশ্য রেকর্ড হল মহিলার অ্যাকশন ক্যামেরায়
মাদক পাচারকারীদের ধরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, সৈকতের কাছে অপেক্ষারত একটি দলের হাতে এই মাদকগুলি তুলে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছে ধরে ফেলে আরও তিন মাদক পাচারকারীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা জেসন ল্যাসিটার (৪৫), স্কট ফ্লেক্সি জোনস (৩৫) ও অ্যাঙ্গুস ব্রুস জ্যাকসন (৫০)।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় চার কোটি ৮৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা)-র মাদক উদ্ধার হয়েছে। ধরা পড়ার পর পাঁচ মাদক পাচারকারীকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশের দাবি, একটি বড় মাদক পাচারচক্রের হদিশ মিলল এই অভিযানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy