মার্কিন অভিবাসন নীতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমেরিকার পর্যটন শিল্পের উপর? সম্প্রতি আমেরিকায় বেশ কিছু পর্যটককে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। পশ্চিমি দেশগুলির অনেক পর্যটককে সম্প্রতি আমেরিকার সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার পর্যটনে প্রভাব পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই ধরপাকড়!
জার্মানি, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি আমেরিকায় ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে নিজেদের দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে। যেমন আমেরিকায় ঘুরতে যেতে ইচ্ছুক পর্যটকদের সাবধান করে দিয়েছে জার্মানির প্রশাসনও। পর্যটকদের বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও নিয়ম ভাঙলে পর্যটকদের শুধু আমেরিকায় প্রবেশের সময়ে আটকেই দেওয়া হবে না, তাঁদের গ্রেফতারও করা হতে পারে। ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রকও সম্প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদের আমেরিকায় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে সাবধান করেছে। ওয়েল্সের বাসিন্দা এক পর্যটককে কানাডার সীমান্তে আটকে দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ অনুসারে, তিন সপ্তাহে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ব্রিটেনের এক গানের দলের সদস্যদের আমেরিকায় আটক করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তাঁদের আটক করা হয়েছিল। পর পর ঘটে চলা এই ঘটনাগুলির মাঝে ব্রিটিশ নাগরিকদের আমেরিকা ভ্রমণের বিষয়ে সাবধান করেছে ব্রিটেনের প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, আমেরিকায় পর্যটন শিল্পের ওঠানামার উপর নজর রাখা এক সংস্থা ‘ট্যুরিজ়ম ইকোনমিক্স’-এর তথ্য বলছে, ধরপাকড় শুরুর আগে অনুমান করা হয়েছিল আমেরিকায় পর্যটকের সংখ্যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এখন সেই অনুমিত হিসাব বলছে, পর্যটক সংখ্যা ৯ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আমেরিকার পর্যটন শিল্পে ৬৪০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি টাকা) কম ব্যবসা হতে পারে। ওই সংস্থার সভাপতি অ্যাডাম স্যাক্স সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’কে জানিয়েছেন, পরিস্থিতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন পর্যটন শিল্পে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে কানাডা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকা থেকে সড়কপথে পর্যটকদের কানাডায় ফেরার হার ২৩ শতাংশ কমেছে। আকাশপথে পর্যটকদের ফেরার হার কমেছে ১৩ শতাংশ।