Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
US PRESIDENTIAL ELECTION 2020

হোয়াইট হাউস থেকে সরে গেলেও পেনশন-সহ যে সুযোগসুবিধা পাবেন ট্রাম্প

বেশ মোটা অঙ্কের পেনশন তো পাবেনই আজীবন। সঙ্গে পাবেন আমেরিকার ঝাঁচকচকে এলাকায় অফিস চালানোর বিশাল জায়গা।

আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- রয়টার্স।

আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ১৪:১৭
Share: Save:

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আড়াই মাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সরকারি দায়িত্ব থেকে অন্তত ৪ বছরের জন্য তো বটেই অবসরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তবে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হলেও ট্রাম্পের জন্য সরকারি খাতে খরচ খুব কম হবে না আমেরিকায়।

বেশ মোটা অঙ্কের পেনশন তো পাবেনই আজীবন। সঙ্গে পাবেন আমেরিকার ঝাঁচকচকে এলাকায় অফিস চালানোর বিশাল জায়গা। তার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। সেই অফিসে বহু কর্মী রাখার যাবতীয় খরচও। তা ছাড়াও পাবেন বিস্তর ঘোরাঘুরি আর টেলিফোনের খরচে প্রচুর ডলার। আর আজীবন পাবেন তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধা। যার সব খরচই বহন করবে আমজনতা, তাঁদের জমা দেওয়া আয়করের মাধ্যমে।

শুধু ট্রাম্প নন, তাঁকে নিয়ে আমেরিকার যে ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট এখনও পর্যন্ত অবসরে গিয়েছেন আজীবন তাঁদের সকলের জন্যই সরকারি খাতে পেনশন-সহ ওই সব ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের অর্থবরাদ্দ থাকে ফিবছরের বাজেটে। আমেরিকার সংবিধান মোতাবেক। যার শুরুটা হয়েছিল আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই। ১৭৮৯-এ।

সব প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী, বেতন পান প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটের সদস্যদের এখনকার মাইনের মতো। ২০১৭ সালে সেই পরিমাণ ছিল প্রতি বছরে ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। এর মধ্যে অন্যান্য ভাতা নেই, মনে রাখবেন।

২০১৮ সালে কংগ্রেসে যে বাজেট প্রস্তাব জমা পড়েছিল তাতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের জায়গার জন্য খরচ জানানো হয়েছিল ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ডলার। আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ঘোরাঘুরির জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৮ হাজার ডলার।

আরও পড়ুন- বিভাজন সরিয়ে আমেরিকাকে এক সুতোয় বাঁধার অঙ্গীকার বাইডেনের

আরও পড়ুন- ভারতীয় মায়ের কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে হোয়াইট ‘হাউসে’, ইতিহাসে ঢুকলেন কমলা হ্যারিস

শুধু তাই নয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রীদের মোটা অঙ্কের পেনশন পাওয়ারও অধিকার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংবিধানে। সেটাও খুব কম নয়! বছরে ২০ হাজার ডলার। আজীবন। সঙ্গে তাঁরাও পান ঘোরাঘুরি, টেলিফোন ও যোগাযোগরক্ষার যাবতীয় খরচ।

২০১৫-য় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তারক্ষার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২ লক্ষ ডলারেরও বেশি। আর সেই খরচটা আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ক্ষেত্রে ছিল ৮ লক্ষ ডলার।

এই সব ছাড়াও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কোনও নামজাদা কর্পোরেট সংস্থার পরিচালন বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানা প্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়ে প্রচুর ডলার উপার্জন করতে পারেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া রয়েছে।

অবসর নেওয়ার পর শুধু বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উপার্জন করেছিলেন সাড়ে ৬ কোটি ডলার। আর আত্মজীবনী ছাপিয়ে রোজগার করেছিলেন দেড় কোটি ডলার।

এই সব সুযোগই থাকবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy