ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে টেক্সাস এবং ওহায়োয় বন্দুকবাজ হামলার ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিক মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। মার্কিন আগ্নেয়াস্ত্র আইন আরও কড়া করার পক্ষে জোর সওয়াল করা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের দিকে বৃহস্পতিবার এ ভাবেই তোপ দাগল আমেরিকার ‘দ্য ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন’ (এনআরএ)।
কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির আগে আরও কড়া ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ করানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। অস্ত্র আইন কড়া করার পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতদিন চুপ ছিলেন। তবে বুধবার ওহায়ো এবং টেক্সাসের ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ার আবশ্যিকতার কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। যদিও সেই সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
এ দিকে এক বিবৃতিতে এনআরএ দাবি করেছে, ‘‘দুঃখজনক ভাবে, হুজুগের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা হামলার ঘটনাগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক রং মেশানোর চেষ্টা করছেন। চেষ্টা হচ্ছে, এনআরএ এবং তার ৫০ লক্ষ আইন-মান্যকারী গ্রাহকদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার।’’ সম্প্রতি এক মার্কিন সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই সপ্তাহে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন এনআরএ প্রধান ওয়েন লা পিয়ের। ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বিল’ আনা হলে তা তাঁর সমর্থকেরা ভাল ভাবে নেবেন না। বলা হচ্ছে, সম্ভবত ট্রাম্পকে এমন উপদেশই দিয়েছেন তিনি।
আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির আগে ক্রেতাদের সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বিল পাশ হয়েছিল ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ। বিলটি আইনে পরিণত হলে অনলাইন ক্রেতা এবং আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে খোঁজখবর নেওয়ার সমস্যাও মিটে যাবে বলে দাবি করা হয়। পাশাপাশি, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার দরখাস্তে তথ্য অসম্পূর্ণ থাকলে খোঁজ নেওয়ার সময় বর্তমানে তিন দিন। তা বাড়িয়ে দশ দিন করা নিয়েও একটি বিল পাশ করে হাউস। তবে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সেনেটে দু’টি বিলই আটকে রয়েছে। তার উপরে আবার বছরের গোড়াতেই বিল দু’টির উপর ভিটো প্রয়োগের হুমকি দেয় হোয়াইট হাউস। এই জোড়া হামলার পরে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাকনেলকে অস্ত্র আইনের বিষয়টি সেনেটে উত্থাপনের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। যদিও সে সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এনআরএ-র পাল্টা দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো সংবিধান বিরোধী। তা ছাড়া এর ফলে যে বন্দুকবাজের হামলার মতো ঘটনায় রাশ টানা সম্ভব, তেমনটাও মনে করে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy