ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত ধর্মগুরুর ছবি।
আদালতের সামনে বড়াই করে মুসলিম ধর্মগুরু আদনান ওকতার বলেছিলেন, ‘‘আমার এক হাজার বান্ধবী আছে’’। কিন্তু তার কথা শেষ পর্যন্ত শুনতে রাজি হয়নি আদালত। যৌন নির্যাতন-সহ মহিলাদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগে ৬৪ বছরের জনপ্রিয় ধর্মগুরু ওকতারকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রধান ওকতারের সংগঠনকে অনেকদিন আগেই অপরাধীদের গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছিল তুরস্কের প্রশাসন। ২০১৮ সালে এই সংগঠনের প্রধান ওকতার ও বেশ কয়েকজন অন্য প্রধানদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওকতারের প্রতিক্রিয়াশীল ভাবনায় মহিলারা ‘পোষ্য’ বলে বিবেচিত হত। টিভিতে যখন তাকে একা দেখা যেত না, তিনি সর্বত্র মহিলা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতেন। ধর্মগুরু দাবি করতেন, ‘‘তাঁর জীবনে প্রেম বিলিয়ে চলাই লক্ষ্য। অশেষ প্রণয় তার হৃদয়ে আছে।’’
এমনতর সংগঠন ও সংগঠনের প্রধানকে আজ থেকে দু’বছর আগে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ২৩৬ জন সন্দেহভাজনকে মামলায় যুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৯৯০ সাল থেকে একাধিক যৌন কেচ্ছায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে ওকতারকে। কিন্ত ২০১১ সাল থেকে একাধিক মামলা জমতে থাকে তার নামে। এক মহিলা জানান ধর্ম প্রচারের নামে নৃশংস যৌন অত্যাচার করেন ওকতার। পুলিশ পরে ওকতারের বাড়ি তল্লাশি করে ৬৯ হাজার গর্ভ নিরোধক পায়। যেগুলি জোর করে তার মহিলা অনুগামীদের খেতে বাধ্য করতে ধর্মগুরু।
আরও পড়ুন: অ্যানাকোন্ডাকে জল থেকে ডাঙায় তুলতে পারবে ব্ল্যাক প্যান্থার?
আরও পড়ুন: আমেরিকার চিড়িয়াখানায় করোনার ছোবলে দুই গরিলা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy