(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ফ্লোরিডায় আয়োজিত এক সভায় ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেন, কমলা হ্যারিস ইহুদিদের পছন্দ করেন না। ইজ়রায়েলকেও পছন্দ করেন না। তিনি অবশ্য চিরকাল এমনটাই করে আসছেন। ভবিষ্যতেও তাঁর মধ্যে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই!
আমেরিকান কংগ্রেসে হ্যারিস নেতানিয়াহুর বক্তৃতায় অংশ না নেওয়ার পরেই কমলাকে ইহুদি-বিদ্বেষী বলে বসেছেন ট্রাম্প। এর পর কমলাকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। ওই সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কমলার স্বামী এক জন ইহুদি। তা সত্ত্বেও তিনি নেতানিয়াহুর সভায় অংশগ্রহণ করেননি। কারণ, তিনি সম্পূর্ণভাবে ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে।’’ আমেরিকাবাসী ইহুদিরা কী ভাবে সেই কমলাকে ভোট দিতে পারেন— প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়াও কট্টর দক্ষিণপন্থীদের ওই ঘণ্টাখানেকের সভায় ট্রাম্প পুলিশিং, অভিবাসন এবং পরিবেশ সম্পর্কে হ্যারিসের পূর্ববর্তী মন্তব্যগুলির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
দিন কয়েক আগেই আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ‘উগ্র বামপন্থী উন্মাদ’ বলে আক্রমণ করেছিলেন ট্রাম্প। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারসভায় এই মন্তব্য করেছিলেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সামনের নভেম্বরেই আমেরিকায় নির্বাচন। বাইডেনের জায়গায় ডেমোক্র্যাটিক শিবির থেকে এ বার প্রস্তাব করা হয়েছে কমলা হ্যারিসের নাম। ডেমোক্র্যাটিকদের অন্দরে যা হাওয়া, তাতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কমলার দিকেই পাল্লা ভারী। তাই রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে কমলাকে বার বার আক্রমণ করছেন ট্রাম্প।
ডেমোক্র্যাটিক শিবিরে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কমলার নাম প্রস্তাবিত হওয়ার পর উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এক নির্বাচনী প্রচারসভায় ট্রাম্প বলেছিলেন, “কমলা এক জন উগ্র বামপন্থী উন্মাদ। তিনি দেশকে ধ্বংস করে দেবেন। তা আমরা হতে দিতে পারি না।” উল্লেখ্য, গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে শুরু থেকেই সরব কমলা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টকে বিঁধে ট্রাম্প দাবি করেছেন, কমলা ভ্রূণ ‘হত্যা’কে সমর্থন করেন।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর মাঝরাস্তায় হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকার বর্তমান তথা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার আগে নিজের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার নাম প্রস্তাব করে গিয়েছেন তিনি। ৫৯ বছরের কমলার দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আইনি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম মহিলা অ্যাটর্নি জেনারেল। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy