দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে রয়েছে ট্রেনের ওয়াগনগুলি। ছবি: ‘অজি রাইটস অব’-এর ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
ট্রেন থেকে কাজে নেমেছিলেন চালক। আচমকাই গড়াতে শুরু করল ট্রেন! দৌড়ে ট্রেনের কাছে ফিরে আসার আগেই গতি এমন বেড়ে গেল যে, কেবিনে উঠতেই পারলেন না চালক। এরপর চালক ছাড়াই প্রায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে এক ঘণ্টা ধরে ছুটল সেই ট্রেন। অবশেষে লাইনচ্যুত করে কৃত্রিম ‘দুর্ঘটনা’ ঘটিয়ে থামানো হল সেই ট্রেন।
সোমবার এমনই নজিরবিহীন ‘দুর্ঘটনা’ ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ২৬৮ ওয়াগনের ওই মালবাহী ট্রেনটির প্রায় পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত। লাইনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় কিলোমিটার। তবে প্রাণহানির কোনও খবর নেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেছেন কর্মীরা।
ওই ট্রেনটি চালায় অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত খনিজ উত্তোলনকারী সংস্থা বিএইচপি। এই সংস্থার আরও তিনটি পণ্যবাহী ট্রেন রয়েছে। মূলত খনি অঞ্চল থেকে বন্দরে কাঁচামাল নিয়ে যাওয়ার কাজ চলে ওই ট্রেনগুলিতে।
আরও পড়ুন: চার-চারটি কুকুরছানাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা! মৃত সন্তানদের পাশে অঝোরে কেঁদেই চলেছে মা
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চালক একটি সাইট পরিদর্শনের জন্য ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকাই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। চালকবিহীন অবস্থায় দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করার খবর পাওয়ার পরই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় সংস্থার পিলবারা সাইটের কাছে পোর্ট হেলল্যান্ড শহরে ট্রেনটি লাইচ্যুত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো ওই এলাকায় লাইনের লুপগুলি খুলে দেওয়া হয়। সেখানেই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে লৌহ আকরিক ভর্তি ওয়াগনগুলি।
বিএইচপি-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই ১৩০ জন কর্মী দিন-রাত লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেছেন। আশা করা যায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের ওই লাইনকে ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করে ফেলা যাবে। বিপুল পরিমাণ লৌহ আকরিক নষ্ট হয়েছে। সেগুলির যতটা সম্ভব উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে উড়ালপুলে অটো! দুর্ঘটনা, যাত্রীর মৃত্যু
অন্য দিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাকি চালকের কোনও ভুলে ট্রেনটি চলতে শুরু করেছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy