সেই ডালাইন।
আরও এক ‘শিকার’ ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের।
জর্ডনের মহিলা। সাইকোলজিতে গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি পাচ্ছিলেন না। ডুবে গিয়েছিলেন গভীর অবসাদে। সেই সময়েই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর অর্থ উপার্জনের টোপ। তার বিনিময়ে যেতে হবে তুরস্কে। তবে তার জন্য তাঁকে ভাল ঘর-বাড়ি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
২৫ বছরের সেই ডালাইন পরে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তুরস্ক থেকে। কারণ, তাঁকে সেখানে নিয়ে গিয়ে তোলা হয়েছিল এমন এক জায়গায়, যেখানে তাঁরই মতো ছিলেন আরও অনেক মহিলা। তাঁদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের গোপন ডেরায়। তার পর তাঁদের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সিরিয়ায়। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হত হয়তো অন্য কোনও দেশে, আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে। বা কোনও নাশকতার কাজে।
কী ভাবে ‘রিক্রুট’ করা হয়েছিল ডালাইনকে?
ডালাইন নিজেই জানিয়েছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। ওই মিডিয়াতেই তাঁর সঙ্গে দুবাইয়ের এক জন বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন। তিনিই ডালাইনের কাছ থেকে তাঁর টেলিফোন নম্বর নিয়েছিলেন। তার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যখন জানতে পারেন, চাকরি না পেয়ে গভীর অবসাদে ভুগছেন ডালাইন, তখন দুবাইয়ের ওই ‘বন্ধু’ই তাঁকে বলেছিলেন, কোনও চিন্তা নেই। প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেবেন তিনি। শুধু তাঁকে যেতে হবে তুরস্কে। কিন্তু সেই কাজটা কী ধরনের তার কিছুই বলেননি আমার দুবাইয়ের সেই ‘বন্ধু’। পরে তুরস্কে গিয়ে বুঝি, বড় বিপদে পড়ে গিয়েছি।’’
তার পর এক বন্ধুর মাধ্যমেই জর্ডনে ফিরে আসতে পেরেছেন ডালাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy