Advertisement
E-Paper

মার্কিন শুল্কনীতি বিশ্ব উন্নয়নের পরিপন্থী, দুর্বলদেরই বিপদে ফেলছে! সমালোচনা রাষ্ট্রপুঞ্জের

বিভিন্ন দেশের উপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর নতুন শুল্কনীতির জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ করেছে চিনও। মার্কিন এই বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

photo of Donald Trump

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪৯
Share
Save

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যে শুল্কনীতি আমেরিকা অনুসরণ করছে, তা বিশ্ব উন্নয়নের পরিপন্থী। এমনটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনসিটিএডি) সেক্রেটারি জেনারেল রেবেকা গ্রিনস্প্যান। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই নীতির ফলে সবচেয়ে বিপদে পড়বেন দুর্বল এবং দরিদ্রেরা। সার্বিক ভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলেও মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে বিভিন্ন দেশের উপর ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, যে দেশগুলি আমেরিকার পণ্য থেকে শুল্ক নেয়, তাদের উপরে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের সেই বাড়তি শুল্কের তালিকায় ছিল ভারতও। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ২৬ শতাংশ। ট্রাম্পের এই শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার পর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি তোলপাড়। ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। একাধিক দেশ এই নীতির সমালোচনা করেছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে চিন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের বিবৃতিতে রেবেকা বলেন, ‘‘বাণিজ্য উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। একে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতার উৎস করে তোলা উচিত নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বণিকদের যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে নতুন বাণিজ্যনীতি প্রয়োজন। নতুন বাণিজ্যনীতিতে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিফলন থাকা দরকার। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা এবং উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই সেই নতুন বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করতে হবে। দরিদ্র ও দুর্বলদের রক্ষা করতে হবে। এটি পারস্পরিক সহযোগিতার সময়। এখন উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলার কোনও মানে হয় না।’’

চিনা পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বেজিং আমেরিকার পণ্যে পাল্টা আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছে। ট্রাম্পের নীতির জবাবে আমেরিকার ১১টি সংস্থার বাণিজ্য চিনে বন্ধ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেশ কিছু খনিজ পদার্থের রফতানিতেও রাশ টানা হয়েছে। চিনের এই পদক্ষেপে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে ধাক্কার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অন্য দেশগুলিও যদি চিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তবে সার্বিক ভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তা নিয়েই উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ।

সংক্ষেপে
  • দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
  • পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
US Tariff Donald Trump UN World Economy

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}