প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে আচমকা চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে হোয়াইট হাউস জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, প্রশাসনিক কর্তাদের বরখাস্তের তেমন কোনও কারণ দেখানো হয়নি। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যাঁদের ট্রাম্প ছাঁটাই করেছেন, তাঁদের মধ্যে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) অন্তত তিন জন শীর্ষ আধিকারিক রয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বুধবার ট্রাম্প দেখা করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থক লরা লুমারের সঙ্গে। অনেকে এই বৈঠকের সঙ্গে ট্রাম্পের কর্মীছাঁটাইয়ের যোগ খুঁজে পাচ্ছেন।
সূত্র উল্লেখ করে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে প্রশাসনিক কর্তাদের ছাঁটাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন লরা। তাঁর অভিযোগ, ওই কর্তারা ট্রাম্প এবং তাঁর নীতির প্রতি অনুগত নন। এনএসসি-র বেশ কয়েক জনের নামের তালিকাও তিনি ট্রাম্পের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে খবর। এর পরেই বৃহস্পতিবার ওই আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সমর্থনে ঢালাও প্রচার করেছেন লরা। তিনি অতি দক্ষিণপন্থী এবং ট্রাম্পের সক্রিয় সমর্থক হিসাবে পরিচিত। একাধিক বার ট্রাম্পের মুখে তাঁর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসে কর্মীছাঁটাই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প দুইয়ের মধ্যে যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ই এমন মানুষদের সরিয়ে দিই, যাঁদের আমরা পছন্দ করি না। অথবা, যাঁরা কাজ করতে পারবেন না বলে আমাদের মনে হয়, অথবা, যাঁরা অন্য কারও হয়ে কাজ করছেন বলে আমরা জানতে পারি।’’
লরাকে ‘দেশপ্রেমী’ বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে লরার সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘‘লরার সঙ্গে খুব অল্প সময়ের জন্য আমি দেখা করেছিলাম। ও আমাকে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমি কখনও কখনও এই সমস্ত প্রস্তাব শুনি। তার পর নিজে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিই।’’ ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, খোলসা করতে চাননি লরা নিজেও।
এনএসসির যে তিন আধিকারিককে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে সিএনএন নিশ্চিত করেছে, তাঁরা হলেন ব্রায়ান ওয়াল্শ, টমাস বুডরি এবং ডেভিড ফিয়েথ। প্রত্যেকেই এনএসসি-র উচ্চ পদে ছিলেন। এ বিষয়ে কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস বলেন, ‘‘কর্মচারীদের বিষয় নিয়ে এনএসসি সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করে না।’’ সূত্রের খবর, আরও কয়েক জন আধিকারিক ট্রাম্পের কোপে পড়ে হোয়াইট হাউসের চাকরি হারাতে পারেন।