তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আর্থিক আর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে গোটা বিশ্বের কাছে আর্জি জানিয়ে রেখেছে আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জও তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে সায় দিয়েছে। এ হেন উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ লক্ষ ডলার আর্থিক সাহায্যের রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছিলেন এক অস্ট্রেলীয় প্রৌঢ়। গত কাল সিডনির শহরতলি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, কালো বাজারে ক্ষেপণাস্ত্রের নানা ধরনের অংশ বিক্রি করে মোটা অঙ্কের ডলার পিয়ংইয়ংকে দেওয়ার পরিকল্পন ছিল তাঁর।
চান হান চই। বছর উনষাটের কোরীয় বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি প্রায় তিন দশক ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। আপাতত অস্ট্রেলিয়ারই নাগরিক তিনি। কিন্তু এত বছর ধরে বিদেশে থেকেও তিনি কিম জং-উনের প্রতি প্রবল আনুগত্য দেখিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ হানের পরিকল্পনা ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা, যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার এমনকী কারিগরি সহায়তা পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের মাধ্যমে কালো বাজারে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চান। বিনিময়ে লক্ষাধিক ডলার উত্তর কোরিয়ার কাছে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করছিলেন তিনি। গোটা বিশ্ব যেখানে সমস্ত রকমের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে কিমকে বাগে আনার চেষ্টা করছে, সেখানে চানের এই উদ্যোগ যুদ্ধাপরাধের সামিল বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের অপরাধ অস্ট্রেলিয়ায় আগে কেউ করেনি। উত্তর কোরিয়ায় এক সাঙ্ঘাতিক বিপজ্জনক শাসন ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। গোটা এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করতে দায়ী কিমের একের পর এক বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে ওই ব্যক্তি যা করছিলেন, তা তো যুদ্ধ বাধানোর সমান।’’ এত দিন যাদের যাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, তার পুরোটাই সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডেরাল পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, চানের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় তাঁর আর কোনও সহযোগী ছিলেন না বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তা নীল গঘান। চানকে এক জন ‘প্রকৃত দেশপ্রেমী’ আখ্যা দিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy